—প্রতীকী চিত্র।
যৌথ অভিযানে পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে ওই অভিযানে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র ও গুলি-সহ দু’টি দেহই উদ্ধার করেছে।
এক্স হ্যান্ডলে পুলিশ লিখেছে, ‘‘কুপওয়ারা পুলিশের কাছে আসা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাছিল সেক্টরের কুমকাদি এলাকায় সেনা এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।এখনও পর্যন্ত দুই অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে।’’ এলাকাটি এখনও ঘিরে রাখা হয়েছে। চলছে তল্লাশি। বাহিনী প্রচুর অস্ত্র ও গোলাগুলি উদ্ধার করেছে। সেনা সূত্রের খবর, সঙ্গে এমন কিছু সূত্র হাতে এসেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে আসছিল ওই অনুপ্রবেশকারীরা।
কুপওয়ারা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত দু’টি একে৪৭ রাইফেল, চারটি ম্যাগাজ়িন, নব্বই রাউন্ড গুলি, একটি পাকিস্তানি পিস্তল, ২১০০ পাকিস্তানি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে অকুস্থল থেকে। এখনও তল্লাশি চলছে।’’ চলতি বছরে এই নিয়ে পঞ্চম বার কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রোখা হল।
এ দিকে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আজ জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজৌরির ডাংরি গ্রামে লস্কর-ই-তইবার হামলায় পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও অনেকে। তদন্তে দুই অভিযুক্তকে নিসার আহমেদ ওরফে হাজি নিসার এবং মুস্তাক হুসেনকে গত ৩১ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা এখন জম্মুর কোট ভলবাল সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। এনআইএ সূত্রে খবর, তাদের জেরা করে পাওয়া সূত্র ধরেই এ দিন কয়েকটি ডেরায় হানা দেওয়া হয়।
তদন্ত-সংস্থার দাবি, ধৃত দু’জন রজৌরির হামলাকারী জঙ্গিদের লুকিয়ে রেখেছিল। আজ পুঞ্চের গুরসই গ্রামের পাঁচটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়েছে। মূলত বসতি এলাকা। তার মধ্যে ওই হামলায় জঙ্গিদের বিভিন্ন রকমের সহায়তা করা কিছু লোক মিশে রয়েছে বলে দাবি এনআইএর। বেশ কিছু ডিজিটাল যন্ত্রপাতি এবং অপরাধমূলক নথি বাজেয়াপ্তকরা হয়েছে।