দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা আটটি চিতার মধ্যে দু’টি চিতাকে বড় এলাকায় ছাড়া হল শনিবার। —ফাইল চিত্র।
শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা দু’টি চিতাকে ‘মুক্ত প্রান্তর’ থেকে আরও বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি কুনোর জঙ্গলে ছাড়ার আগে জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে আরও ভাল করে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে আনন্দ প্রকাশ করেন।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘এ দারুণ খবর। এত দিন বন্দিদশায় থাকার পর আরও বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের, যাতে কুনোর জঙ্গলে মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়। বাকি চিতাগুলিকেও খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। চিতাগুলি সুস্থ-সবল রয়েছে জেনে আমি বেজায় খুশি।’’
তবে, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ। সূত্রের খবর, বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রবিবার এই চিতাগুলিকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, বনবিভাগের আধিকারিকরা এক দিন আগেই চিতাগুলিকে বড় এলাকায় ছেড়ে দেন। সূত্রের খবর, এলাকার পরিবেশ এবং চিতাগুলির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করার পর শনিবার চিতা দু’টিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বাকি চিতাগুলিকেও ধাপে ধাপে বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
বন আধিকারিক প্রকাশকুমার বর্মা জানিয়েছেন, চিতা দু’টিকে যে বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাদের শিকার করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হরিণ রয়েছে।প্রসঙ্গত, জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি চিতাকে নভেম্বর মাসে তাদের আরও বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক বিশেষ কর্মীদল। পিটিআই সূত্রে খবর, পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে এই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সেই বিশেষ কর্মীদলের এক সদস্য। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জন্মদিন পালন করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকা থেকে আনা চিতাগুলিকে মুক্ত করে।
কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অল্পবয়স্ক চিতা। যাতে তাদের থেকে ভারতে চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি ঘটে, সে জন্যই তাদের আনা হচ্ছে।