দীপাবলির পর থেকেই দেশের রাজধানী শহরে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। —ফাইল ছবি
রাজধানীর বাতাসের মানে সামান্য উন্নতি। দূষণের সূচক অনুযায়ী দিল্লির বাতাস শনিবার পর্যন্ত ছিল ‘অতি ভয়াবহ’। তা থেকে কিছুটা উন্নতি হল রবিবার। যদিও এখনও দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাতাস অত্যন্ত দূষিত এবং ক্ষতিকারক বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। রবিবার সকালে দিল্লির ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৩৩৯। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এমন পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে থাকেন।
দীপাবলির পর থেকেই দেশের রাজধানী শহরে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। গত কয়েক দিনে তা এতটাই ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চোখ জ্বালা— নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, দিল্লির বাতাস ক্রমশ হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী।
সার্বিক ভাবে দিল্লির বাতাসের গুণমানের সূচক রবিবার ৩৩৯ হলেও নিকটবর্তী এলাকায় কোথাও কোথাও দূষণের মাত্রা আরও বেশি। নয়ডায় রবিবার সকালে দূষণের সূচক ৩৪৯। গুরুগ্রামে দূষণের সূচক ৩০৪। প্রতি ক্ষেত্রেই তা ‘ভয়াবহ’।
বাতাসের গুণমানের সূচক ২০০ থেকে ৩৫০-র মধ্যে থাকলে বাতাসের মান ‘গুরুতর ক্ষতিকারক’ বলা হয়। ৩৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ভয়াবহ’। গুণমানের এই সূচকটি নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫)-এর উপরে। কার্যত কোনও অঞ্চলে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতির হারই সেই অঞ্চলের একিউআই। ফুসফুসের ক্ষেত্রেও সব থেকে বিপজ্জনক এই অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই দিল্লির বাতাসে যা ঊর্ধ্বমুখী।
আপাতত রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাতাসের উন্নতির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। ফলে যানবাহনের ধোঁয়ায় দূষণ যতটা সম্ভব কম করা যায়, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। বড় বড় গাড়ি যাতে বেশি ক্ষণ যানজটে আটকে না থাকে, ধোঁয়ার দূষণ যাতে কম হয়, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।