গত বুধবার সংসদে ও সংসদের বাইরে হাঙ্গামা নিয়ে সরকারের জবাবদিহি চেয়ে সরব রয়েছেন বিরোধীরা। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই আজ লোকসভায় ডাকঘর বিল, ২০২৩ এবং রাজ্যসভায় পুদুচেরি ও জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মহিলাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিলগুলি পাশ করিয়ে নিল শাসক শিবির। দণ্ড সংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল এর পরে পাশ করানো হতে পারে।
গত বুধবার সংসদে ও সংসদের বাইরে হাঙ্গামা নিয়ে সরকারের জবাবদিহি চেয়ে সরব রয়েছেন বিরোধীরা। আজও সকাল থেকে সংসদের উভয় কক্ষে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই লোকসভায় ডাকঘর বিল পাশ করিয়ে নেয় সরকার। যদিও বিরোধী শিবিরের যুক্তি, ওই বিল পাশ হওয়ার ফলে ডাকঘরের কর্মীরা, বকলমে সরকার যে কোনও পার্সেল বা খাম জাতীয় সুরক্ষার নামে খুলে দেখতে পারেন। যা ব্যক্তিগত পরিসরে সরকারের হস্তক্ষেপ বলে সরব হন কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ শশী তারুরেরা। সরকার পাল্টা যুক্তিতে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছে, নতুন নিয়মে খুলে দেখা শুরু হলে পার্সেলে মাদক পাচার অনেকাংশে কমানো যাবে। গত বাদল অধিবেশনে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ হয়েছিল। আজ লোকসভায় বিক্ষোভের মাঝেই তা পাশ করিয়ে নিল সরকার।
অন্য দিকে রাজ্যসভাতেও পুদুচেরি এবং জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। এর ফলে ওই বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য আইনত ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হতে চলেছে। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, জম্মু ও কাশ্মীরের মহিলাদের জন্য আসন তো সংরক্ষিত হল, কিন্তু ভোট কবে হবে তা আগে স্পষ্ট করুক সরকার। তারই মধ্যে আজ রাজ্যসভাতেও হট্টগোলের মাঝে ওই বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। আজকের পরে বাকি রয়ে গেল দণ্ড সংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল। রাতে সংসদীয় কাজের যে তালিকা সামনে এসেছে, তাতে দণ্ড সংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিলের উল্লেখ রয়েছে। আজ যে ভাবে এক ধাক্কায় ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে দুই কক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাতে আগামী দিনে বিরোধী শূন্য উভয় কক্ষে ওই বিলগুলি পাশ করিয়ে নেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।