—প্রতীকী চিত্র।
লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকাকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানোয় লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। বিষয়টি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে লিখিত ভাবে তারা জানিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ভুল শুধরে নেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মীনাক্ষী লেখি বলেন, ‘‘টুইটার আইনসি-র চিফ প্রাইভেসি অফিসার ডেমিয়েন কেরিয়েন স্বাক্ষরিত হলফনামা জমা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে টুইটার। ভারতীয়দের আবেগে আঘাত করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে ওরা। ৩০ নভেম্বরের মধ্য ভুল শুধরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।’’
লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাত চলাকালীন অক্টোবরে এই বিতর্কের সূত্রপাত। সেইসময় লাদাখের লেহ্-তে গিয়ে টুইটারে একটি ছবিতে জিয়ো লোকেশন ট্যাগ করেন সংবাদমাধ্যমের এক কর্মী। ওই জিয়ো লোকেশনে লেহ্কে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। টুইটারের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: নামেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, সময় এলেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বিজেপি: শিবসেনা
সংবিধান অনুযায়ী লাদাখ যে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ, স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দেওয়া হয় টুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসেকে। ওই স্পর্শকাতর এলাকাকে কোন যুক্তিতে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হল, যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হয়ে তা ব্যাখ্যা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই মতো টুইটারের ভারতীয় কর্তারা যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরাও দেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি সাংসদরা। বরং লাদাখকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে এবং তার জন্য ৭ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে সস্ত্রীক সাংবাদিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, ধৃত ৫, ফেরার মূল অভিযুক্ত
তাতেই সুর নরম করেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। ভবিষ্যতে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন তাঁরা। তারপরই লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তাঁরা।