দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত ২২ আয়কর কর্তা। ছবি: ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস ও সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডায়রেক্ট ট্যাক্সেসের ২৭ উচ্চপদস্থ কর্তাকে আগেই বরখাস্ত করেছিল মোদী সরকার। তার ঠিক দু’মাসের মাথায় এ বার আরও ২২ আয়কর কর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে যে ২২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসারদের মতো উচ্চপদস্থ কর্তারাও রয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ সিবিআইয়ের ফাঁদেও ধরা পড়েছিলেন। গত জুন মাসেই ১২ জন সরকারি কর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই তালিকায় ছিলেন আয়কর বিভাগের চিফ কমিশনার, প্রিন্সিপাল কমিশনার ও কমিশনারদের মতো কর্তারাও। সূত্রের খবর, সেই সব কর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি, হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি, যৌন হেনস্থার মতো মারাত্মক অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার যে এমন পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না, তা স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আয়কর বিভাগের কিছু আধিকারিক নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, করদাতাদের হেনস্থা করেছেন। কখনও তাঁরা সৎ করদাতাদের নিশানা করেছেন, কখনও ছোটখাট ভুলের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ করেছেন। আমরা সম্প্রতি আয়কর বিভাগের অনেককেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এমন কাজকর্ম বরদাস্ত করব না।’’
আরও পড়ুন: ভারতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা বীরভূমের ইজাজ এসটিএফের জালে
আরও পড়ুন: অমিত শাহের ডাকা আন্তঃরাজ্য মাওবাদী দমন বৈঠকে গেলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়