তুরস্ককের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্ডোয়ান। ফাইল চিত্র।
ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে সরব হতে দেখা গেল তুরস্ককে। পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে দেশের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্ডোয়ান বললেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ভারত এবং পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি, কাশ্মীরে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে দুই দেশ।”
এর্ডোয়ানের এই বক্তব্যের পরই সাইপ্রাস প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে পাল্টা খোঁচা দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০-তেও রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন এর্ডোয়ান। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এ বিষয়ে ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের পাশে থাকতে দেখা গেল তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে।
২০১৯-এ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদে সেই আইন পাশ হতে না হতেই এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। সেই সময়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল তুরস্ককে। শুধু কাশ্মীর নয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বারবার পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তুরস্ক। কয়েক দিন আগে অস্ত্রবহণকারী ‘কিলার’ ড্রোন বিক্রির প্রসঙ্গে এর্ডোয়ান সরকারের প্রতিক্রিয়া সামনে আসে। সেখানে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনও দিনই ‘কিলার’ ড্রোন নয়াদিল্লিকে বিক্রি করবে না আঙ্কারা। প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তুরস্কের ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েই রুশ বাহিনীকে রুখে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনা।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভায় এর্ডোয়ান ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই পাল্টা সাইপ্রাস নিয়ে তাঁকে বেঁধেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সাইপ্রাস প্রস্তাব সকলের মেনে চলা উচিত।” ১৯৭৪-এ গ্রিসের সাইপ্রাসে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। তার সুযোগ নিয়ে সাইপ্রাসে অভিযান চালায় তুরস্ক। ১৯৮৩-তে সাইপ্রাসের উত্তর অংশকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তারা। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে তুরস্কের এই দাবি মানা হয়নি।