ত্রিপুরায় দিনদিন পেট্রোল ও ডিজেলের সঙ্কট বাড়ছে। জোগান ও চাহিদার মধ্যে ফারাক বেড়েছে অনেকটাই। শহরের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পে ‘পেট্রোল নেই’ বোর্ড ঝুলিয়েছেন মালিকরা। অভিযোগ উঠেছে, ‘কালোবাজারে’ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল।
পেট্রোপণ্যের এই সঙ্কটের জন্য ত্রিপুরা সরকার অবশ্য দায়ী করছে অসমের বেহাল জাতীয় সড়কগুলিকে। রাজ্যের অর্থ ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা জানান, অসমের লোয়ারপোয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার অংশ খুবই শোচনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে। ত্রিপুরামুখী পণ্য বা পেট্রোলবাহী অনেক গাড়ি সেই রাস্তায় আটকে গিয়েছে। তারই জেরে রাজ্যবাসী সমস্যায় পড়েছেন।
ভানুলালবাবুর জানিয়েছেন, বর্ষায় অসমের লোয়ারপোয়া, খাসিয়াপুঞ্জিতে জাতীয় সড়ক যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। প্রতি বছরই একই ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রধানত কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন।’’ তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়ক মেরামতির কিছুটা দায়িত্ব রয়েছে অসম সরকারেরও। তাঁদের এ বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’’
প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় দৈনিক ৫ হাজার কিলোলিটার পোট্রোল লাগে। ডিজেল দরকার ১০ হাজার কিলোলিটার। জুন মাসের শেষের দিকের হিসেবে, রাজ্যে মাত্র কয়েক সপ্তাহের পেট্রোল, ডিজেল মজুত রয়েছে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের হালও একই রকম।
ভানুবাবু জানান, বিকল্প পথে পেট্রোসামগ্রী ত্রিপুরায় পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন (আইওসি)। ভানুবাবু বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সড়ক ও জলপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরার পেট্রো-সঙ্কট দূর করা যেতে পারে।’’