—ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণের জন্যে প্রায় ৩০ বছর ধরে চলে আসা কুমারী পুজো এ বার ত্রিপুরার রামকৃষ্ণ মিশনে করা হচ্ছে না। এমনকি সরকারি বিধিনিষেধ মেনে অঞ্জলি নেওয়ার ক্ষেত্রে ভক্তদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধলেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী ইন্দ্রাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি জানান, ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের পুজোয় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রান্না করা প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেককেই অঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুকনো প্রসাদ দেওয়া হবে।
অঞ্জলির ক্ষেত্রে ভক্তদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বামী ইন্দ্রাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, অঞ্জলি নেওয়ার জন্য সমস্ত মন্ত্র লিখে একটি ফ্লেক্স টাঙানো হবে। ভক্তেরা সেখান থেকে দেখেই মন্ত্র উচ্চারণ করে অঞ্জলি দেবেন। স্বামী ইন্দ্রাত্মানন্দ মহারাজ জানান, প্রত্যেক দিন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল বেশ কয়েক বার স্যানিটাইজ় করার বন্দোবস্ত হয়েছে। পুজোয় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে প্রবেশ করার সময়ে পরীক্ষা করা হবে এবং মুখে আবরণ রাখা ও হাত স্যানিটাইজ় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন চারটি লাইনে চল্লিশ জন ভক্ত পুজোস্থলে যাবেন। এ-ক্ষেত্রে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া থাকবে। এ বার কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো সেরে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে আসবেন। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়েও অল্প কয়েক জন অংশ নেবেন।