বিবাহিত স্ত্রীয়ের খোঁজ করে চলেছেন ত্রিপুরার যুবক। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে খুঁজছেন সজল দাস। ত্রিপুরার বিলোনিয়া থেকে আগরতলায় এসে হাজির হয়েছেন। ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে এসেও মানুষকে দেখাচ্ছেন স্ত্রীর ছবি।
সিপাহীজলা জেলার মেলাঘরের ভোলা মোড়া এলাকার বাসিন্দা সজল দাস ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বাসিন্দা যমুনা দেবনাথকে। ছ’বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের। এক সময়ে চাষ করলেও পরে চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন সজল। স্ত্রী-ছেলেকে বিলোনিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান তিনি।
অতিমারির সময়ে চাকরি হারান সজল। ২৫ জুলাই ত্রিপুরায় ফিরে ১৪ দিন কোভিড কেয়ার সেন্টারে কোয়রান্টিনে কাটান। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ছেলেকে পেলেও স্ত্রীকে পাননি। সজলের অভিযোগ, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। দু’লক্ষ টাকা নগদ ও স্বর্ণ অলঙ্কার নিয়ে সেই যুবকের সঙ্গেই তিনি পালিয়েছেন। আগেও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। সজলের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ সব তাঁকে জানাননি। স্ত্রীকে খোঁজার বিষয়েও তাঁকে সাহায্য করছেন না। সজলের বক্তব্য, ‘‘ছ’বছরের ছেলেটাকে মায়ের স্নেহ ফিরিয়ে দিতে আমি এখনও আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঘর বাঁধতে রাজি।’’