ত্রিপুরা পুরভোটের অশান্তির অভিযোগ বিরোধীদের। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আগরতলা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর অঞ্চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই শাসক বিজেপি-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে বিরোধী দল তৃণমূল এবং সিপিএম। ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটে দিতে না যেতে দেওয়ার মতো অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। আগরতলায় তাদের প্রার্থীদের মারধর এবং পোলিং এজেন্টদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। একটি বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে ভিডিয়ো শেয়ার করেছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
সিপিএম এবং ত্রিপুরা তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে বৃহস্পতিবার শেয়ার করা হয়েছে একটি ভিডিয়ো। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি আগরতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধা ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম মেশিনের কাছে গেলেন। কিন্তু মুখে মাস্ক পরা এক যুবক সে দিকে এগিয়ে গিয়ে উল্টো দিক থেকে হাত বাড়িয়ে ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপলেন। ওই বৃদ্ধা কিছু না বলেই বেরিয়ে চলে গেলেন। এর পর আর এক জন ভোট দেওয়ার সময়ও এই যুবক এসেছিলেন ইভিএমের কাছে। তখন ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে আমি ভোট দেব কী করে?’’
আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থীকে বিজেপি-র গুণ্ডারা মারধর করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আহত প্রার্থীর ছবিও শেয়ার করা হয়েছে টুইটারে। মারধরের পাশাপাশি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বিজেপি বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল এবং সিপিএমের। তৃণমূল নিজেদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়ো শেয়ার করেছে দাবি করেছে, আগরতলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটারদের ভোট যেতে দিচ্ছে না বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না— এই অভিযোগের স্বপক্ষে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছে তৃণমূল। সেখানে সাধারণ মহিলা ভোটারদের বলতে শোনা যাচ্ছে, তাঁরা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট পড়ে গিয়েছে বলে তাঁদের রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকমই এক মহিলা ভোটারকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমার ভোট দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দিতে পারিনি। আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ সিপিএমের তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে, আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গুণ্ডারা জমায়েত করছে এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও বিরোধীদের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি।