রাজ্যকে ভাগ করে পৃথক ‘তুইপ্রাল্যান্ড’ গঠনের দাবি ক্রমশ তীব্র করছে উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি। তার বিরোধিতায় নতুন করে মাঠে নেমে পড়ল সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা দলের মুখপাত্র গৌতম দাশ, ত্রিপুরার গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জামাতিয়াকে পাশে বসিয়ে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) প্রধান রঞ্জিত দেববর্মা আজ সাংবাদিকদের জানান, উপজাতি যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করছে রাজ্যের উন্নয়ন বিরোধী, উপজাতি-অনুপজাতি ঐক্য ও সম্প্রীতি বিরোধী আইপিএফটি। তারা বাঙালি-বিদ্বেষী প্রচার চালাচ্ছে। আইপিএফটি জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি’র প্রকাশ্য রাজনৈতিক শাখা সংগঠন’ বলেও দাবি করে সিপিএম।
আসন্ন এডিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আইপিএফটি একটি নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। ২০০৫ সাল থেকে বামফ্রন্ট নিয়ন্ত্রণাধীন এডিসি’র মাধ্যমে উপজাতি এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে তাতে যে কথা বলা হয়েছে, সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এডিসির প্রশাসনিক সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা।
এ বারের এডিসি নির্বাচনে বামফ্রন্টের মনোনীতি প্রার্থীরা জয়ী হবে বলে আশা করেন এডিসি কর্মসমিতির সদস্যরা। এডিসি প্রধান রঞ্জিত দেববর্মা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘‘এডিসির ২৮টি আসনই বামফ্রন্টের প্রার্থীরা পাবেন।’’ এডিসি এলাকায় উন্নয়নের জন্য সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট গত ১০ বছর ধরে লাগাতার কাজ করছে বলে দাবি করেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।
রাধাচরণবাবু বলেন, ‘‘সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী ১৯৫২ সাল থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে স্বশাসিত জেলা পরিষদ তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৪টি জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে।’’ তিনি জানান, সেগুলির মধ্যে রয়েছে অসমের কার্বি আংলং স্বশাসিত জেলা পরিষদ, খাসি স্বশাসিত জেলা পরিষদ, চাকমা স্বশাসিত জেলা পরিষদ, বড়ো স্বশাসিত জেলা পরিষদ সহ ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ। তাঁর দাবি, দেশের যে কোনও স্বশাসিত জেলা পরিষদের মধ্যে উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরার উপজাতি এলাকায় স্বশাসিত জেলা পরিষদ সব থেকে এগিয়ে। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও এক হাত নেন তিনি। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে এডিসির উন্নয়নে সামিল হয়ে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম সহ বাম প্রার্থীরা জয়ী হবেন বলে প্রধান রঞ্জিত দেববর্মা আশা করেন।