ত্রিপুরার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রতীকী ছবি।
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রীকে অপহরণ করে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে পশ্চিম ত্রিপুরার একটি বাইপাসের ধারে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গণধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রীর পরিচিত এক যুবক-সহ ৩ জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ছাত্রীর পরিরাবের দাবি, সোমবার কলেজ থেকে ফেরার পথে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অজুহাতে তাঁদের ২০ বছরের মেয়েকে গাড়িতে তুলেছিলেন এক পরিচিত যুবক। সে সময় গাড়িতে আরও ৩ জন যুবক ছিলেন। এর পর চলন্ত গাড়িতে ছাত্রীকে একে একে ধর্ষণ করেন ৪ জন। পরে তাঁকে বাইপাসের ধারে ফেলে পালিয়ে যান। ছাত্রীর আত্মীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। এর পর অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন ছাত্রীর মা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে বুধবার ছাত্রীর পরিচিত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরের দিন আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও ছাত্রীর মায়ের দাবি, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন ৪ যুবক।
পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার বলেন, ‘‘গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে গত ৫ মাস ধরে পরিচয় রয়েছে ছাত্রীটির।’’ মহকুমার পুলিশ আধিকারিক আশিস দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্তের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হত ছাত্রীটির। সোমবার ওই যুবকের সঙ্গে গাড়িতে সারা শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। পরে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ৩ জন মিলে একে একে ধর্ষণ করেন। এর পর তাঁকে বাইপাসের ধারে ফেলে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বয়স ২৬ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে এক জনের বাড়ি থেকে নগদে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার রয়েছে। তিনি আইপিএল বেটিংয়ে জড়িত থাকতে পারেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তাঁর বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ-সহ এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।