ছবি পিটিআই।
ত্রিপুরার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পুলিশের উপরও আক্রমণের অভিযোগ উঠল। ভোট দিতে যাওয়ার পথে এক পুলিশকর্মীর উপর ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আগরতলায়। রাজধানীর অভয়নগর এলাকায় ওই পুলিশকর্মীকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই পুলিশকর্মী বলেছেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বিজেপির গুন্ডারা আমার পথ আটকায়। ওরা বলে যে, আমার ভোট নেই। আমায় বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। প্রতিবাদ করায় প্রথমে আমার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে আমার পেটে কোপানো হয়। আমার স্ত্রী, ভাইপোদের উপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। বিজেপি কর্মীরাই এ জন্য দায়ী। গত রাত থেকে হিংসার ঘটনায় জড়িত ওরা।’’
উপনির্বাচনের সকাল থেকেই ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। বরদোয়ালিতে ৫৩ নং বুথে ভোট দিতে যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দা জয়দীপ পাল ও তাঁর বাবাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জয়দীপের অভিযোগ, ‘‘গুন্ডারা জানায়, আমরা ভোট দিতে পারব না। কেন যেতে পারব না, এ কথা বলায়, আমাদের মারধর করতে শুরু করে।’’ সাংবাদিকদের উপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটারদের থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা ভোট কারচুপি করছেন, এই অভিযোগ নিয়ে খবর করতে গিয়ে বড়দোয়ালির একটি কেন্দ্রে শুভম দেবনাথ নামে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গুন্ডারা লোকজনকে ভোট দিতে দিচ্ছিল না। যখন আমি ক্যামেরায় সেটি ধরার করার চেষ্টা করি, তখনই আমার ওপর প্রায় ২০-৩০ জন লোক হামলা চালায়। তারা আমার ফোন, প্রেস কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোটরসাইকেল ভেঙে দেয়’’।
এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আগরতলা কেন্দ্রের ১১ নং বুথের বাইরে জড়ো হয়ে ফোন ছিনতাই করছেন বিজেপি কর্মীরা। ভোটারদের ভয়ও দেখাচ্ছেন, তাঁদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। যুবরাজনগরে তৃণমূল প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেবনাথের অভিযোগ, বিজেপির গুন্ডারা তাঁর বুথস্তরের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। বিজেপির বাইকবাহিনী ভোটারদের রাস্তায় আটকে দিচ্ছে। যদিও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন চলছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।