বিহার সঙ্কট নিয়ে মোদী-শাহকে আক্রমণ ডেরেক ও ব্রায়েনর। ফাইল চিত্র
বিহারে এনডিএ সরকারের পতন এখন কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা। এমন সময় বিহার সরকারের সঙ্কটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিহার সরকারের সঙ্কটের খবর চাউর হতেই টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন। সঙ্গে নিজের চার দিন আগে করা টুইটটিও তুলে ধরেন তিনি। ডেরেক লেখেন, ‘বিহারের রাজনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি বড় কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা চার দিন আগেই সংসদের বাদল অধিবেশন বন্ধ করে দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন ১২ অগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা ৮ অগস্ট শেষ করে দেওয়া হয়েছে। নিজের যে টুইটটি ডেরেক মঙ্গলবারের টুইটের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, তাতে ৮ তারিখে সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ করে দেওয়ার উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার পালিয়ে যাচ্ছে বলে তোপ দেগেছিলেন। বিহারে নীতীশ কুমার এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার খবরে তৃণমূল নেতৃত্ব যে খুশি, তা ডেরেকের টুইটেই স্পষ্ট।
জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের মতে, মহারাষ্ট্র সরকার ভেঙে দেওয়ার পর বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন, ঝাড়খণ্ড হয়ে সরকারের ভাঙনের হাওয়া প্রবেশ করবে বাংলায়। সেই সময় তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা জবাব দিলেও, কোথাও বিজেপি সরকারের পতনের অপেক্ষায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মঙ্গলবার বিহারের এনডিএ সরকারের পতনের প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতেই কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ এনে টুইট করলেন ডেরেক। এমন কটাক্ষের জবাবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “২০২২ সালটা কাটতে দিন। দেখবেন, কে কখন ও কোথায় পালিয়ে গেল। কে জোট ছাড়ল বা কে কী করল, তাতে বিজেপির অগ্রগতি রোখা যাবে না। ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদীই লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলবেন।’’
বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘এটা একটি ক্লাসিক কেস, যেখানে পুলিশকে চোর চোখ রাঙাচ্ছে। ভারত জুড়ে কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলি সোচ্চার হচ্ছে। তৃণমূল তেমনই একটি দল যাঁরা ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’’