ভাইরাল হওয়া সেই হকার অবধেশ দুবে।
দূরপাল্লার ট্রেনের এসি কামরায় এক যুবকের খেলনা বিক্রির ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছয় মিনিটের ওই ভিডিয়োয় খেলনা বেচার ফাঁকে ফাঁকে নেতাদের নিয়ে রঙ্গ-তামাশা করছিলেন ফেরিওয়ালা। অবধেশ দুবে নামে ওই যুবককে শুক্রবার সুরাত স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিনা টিকিটে ভ্রমণ, বিধি ভেঙে ট্রেনের কামরায় ফেরি, ট্রেনের মধ্যে ‘আপত্তিজনক’ শব্দ ব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে ১০ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আদতে বারাণসীর বাসিন্দা অবধেশ বছর দুয়েক আগে গুজরাতে চলে আসেন। সুরাত এবং বাপী স্টেশনের মাঝে খেলনা বিক্রি করেই তাঁর দিন গুজরান। ট্রেনেরই এক যাত্রী সম্প্রতি তাঁর ভিডিয়োটি তোলেন মোবাইলে।
নরেন্দ্র মোদী, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, অরবিন্দ কেজরীবাল থেকে বারাক ওবামা, বিজয় মাল্য— অবধেশের রঙ্গ-ব্যঙ্গে বাদ যাননি কেউই। উপভোগ করছিলেন যাত্রীরাও। সুরাতের আরপিএফ আধিকারিক ঈশ্বর সিংহ যাদব বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অবধেশের ভিডিয়ো আমরাও দেখেছি। ওঁর কথা বলার ধরনটি কিন্তু আকর্ষণীয়।’’
নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, ভোটের সময়ে ব্যঙ্গচিত্র ও নেতাদের অনুকরণ করার ভিডিয়োয় ছেয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্ন উঠছে, বেছে বেছে অবধেশকেই ধরা হল কেন? রেল সূত্রের বক্তব্য, টিকিট না-কেটে ট্রেনে ওঠা বা কামরায় জিনিস ফেরি করা বেআইনি অবশ্যই। তবে মানবিকতার কারণেই হকারদের সচরাচর আটকানো হয় না। ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, অবধেশের পাশ দিয়েই ওই এসি কামরায় ঘুরছেন এক চা-বিক্রেতা। তিনি গ্রেফতার হন বলে খবর নেই। তবে কি স্রেফ রাজনীতিকদের নিয়ে তামাশা করার জন্যই গ্রেফতার হলেন অবধেশ? ঘটনা হল, অবধেশের কথার তুবড়িতে কয়েক বার ‘পাপ্পু’ থাকলেও মোদীকে নিয়ে তেমন আপত্তিকর কিছু ছিল না। বরং হাত জোড় করে তিনি বেশ কয়েক বার বলেছেন, ‘‘মেরে পেয়ারে দেশবাসীয়োঁ।’’