—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার করমণ্ডলকাণ্ডের সেই বালেশ্বর। ওড়িশার এই জেলার নীলগিরি রোড স্টেশনে গত মঙ্গলবার বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল একটি ট্রেন। সেই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে স্টেশন ম্যানেজার এবং এক জন পয়েন্টসম্যানকে সাসপেন্ড করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বালেশ্বর-ভদ্রক সেকশনের নীলগিরি রোড স্টেশনের উপর দিয়ে যাচ্ছিল একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। সেই সময় স্টেশনের কাছেই একটি লুপ লাইনে মেরামতির কাজ চলছিল। অথচ ওই দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সেই লুপ লাইনেই ঢুকে যায় ট্রেনটি। ভুল বুঝতে পেরে আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করান চালক। বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিবেগে যাচ্ছিল। কম গতিবেগ থাকার কারণেই বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে ঘটনাস্থলে যান ট্রেনটির চালক এবং অন্য রেল আধিকারিকেরা। কিছু সময় পরে ট্রেনটি নির্বিঘ্নেই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে নীলগিরি রোড স্টেশনের ম্যানেজার সুভাষ শেট্টি এবং পয়েন্টসম্যান শেখ মহম্মদ খালিপকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২ জুন বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনেই একটি মালগাড়ি ধাক্কা মেরে উল্টে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের উল্টে যাওয়া বগি ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে, যেখান আসছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনেরও বেশ কিছু বগি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় ২৯৩ জন মারা যান।