পাহাড়ি জেলায় পানিমূর জলপ্রপাত। বিপ্লব দেবের তোলা ছবি।
শীতের শুরুতেই পর্যটকদের ভিড় জমল ডিমা হাসাওয়ে। পানিমূর এবং হাফলং শহর লাগোয়া সামপারি ডিসা গ্রামের জলপ্রপাতে যাচ্ছেন অনেকেই। ‘উইকএন্ডের’ ছুটিতে পাহাড়ি জেলায় আসছেন উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার মানুষ।
দীর্ঘ দু’দশক জঙ্গি সমস্যার জেরে পাহাড়ি জেলার কয়েকটি সরকারি আবাসন ও অতিথিশালা ছিল সেনাবাহিনীর দখলে। পর্যটকদের রাত্রিবাসের ভাল জায়গা ছিল না। ছবিটা এখন আমূল বদলেছে। নেই জঙ্গিদের চোখরাঙানি। হাফলঙের মতো শহরে তৈরি হয়েছে হোটেল। পর্যটন বিভাগের অতিথিশালা প্রশাসনকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। অতিথিশালা সাজিয়ে চোলা হচ্ছে। সেখানে থাকবে জাদুঘর, পর্যটন তথ্যকেন্দ্র।
পর্যটন বিভাগের আধিকারিক নরমেন্দু কেম্প্রাই জানান, পর্যটকদের জন্য সরকারি অতিথিশালাগুলিকে মেরামত করা হচ্ছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিকেও। তাতে সাহায্য করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সম্প্রতি শিলচর থেকে ১২ জন চিকিৎসক ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গিয়েছেন। হাফলং হ্রদ, মাইবাং এক পাথরের ঘর, ডিমাসা রাজবাড়ি, জাটিঙ্গা, এথ্নিক ভিলেজ ও উমরাংশু ঘুরে দেখেন তাঁরা। পর্যটক দলের সদস্যরা জানান— পাহাড়ি জেলায় প্রকৃতি অপরূপ। ব্রডগেজে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ চলছে। কয়েক বছরের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে। তাঁদের বক্তব্য, জেলার অন্য জায়গার বেহাল রাস্তাগুলি ঠিক করা না হলে সমস্যা থেকে যাবে। রাজ্য সরকার ও পার্বত্য পরিষদকে তা নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলেন তাঁরা।
কয়েক দিন আগে কলকাতা থেকে উমরাংশু এসেছিলেন কলকাতার শ্রীকুমার লাহিড়ী। পানিমূর জলপ্রপাত দেখে তিনি মুগ্ধ। শ্রীকুমারবাবু বলেন, ‘‘অসমে এমন সুন্দর জায়গা রয়েছে তা না আসলে জানতেই পারতাম না।’’