Himachal Pradesh Tourism

কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভয়ানক দুর্যোগ, বাতিল হোটেল বুকিং, শিমলায় ধুঁকছে পর্যটন শিল্প

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, যে ভাবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের চার দিকে তাণ্ডবলীলা চলেছে, তাতে পর্যটকের সংখ্যা হু হু করে কমতে শুরু করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শিমলা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩৬
Share:

হড়পা বানে ঘরবাড়ি, হোটেল সব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে কুলুতে। ছবি: পিটিআই।

কোভিড ১৯ অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল হিমাচল প্রদেশ। গত দু’বছর ধরে পর্যটকদের যথেষ্ট আনাগোনাও বেড়েছে। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির জেরে হিমাচলের চার দিকে যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তাতে আবার ধাক্কা খেল রাজ্যের পর্যটন। এমনটাই দাবি করছেন হিমাচলের হোটেল ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, যে ভাবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের চার দিকে তাণ্ডবলীলা চলেছে, তাতে পর্যটকের সংখ্যা হু হু করে কমতে শুরু করেছে। আরও এক হোটেল ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র সিংহ ঠাকুর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “পর্যটন ব্যবসায় ১০০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। শিমলা, কসৌলি, মানালিতে হোটেল রয়েছে আমার। কিন্তু এই বন্যা পরিস্থিতি আর বৃষ্টির জেরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বেশির ভাগ জায়গায়। অনেক পর্যটক ঘুরতে এসে এই দুর্যোগে আটকে পড়েছেন। তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। আবার এই পরিস্থিতি দেখে বহু পর্যটক তাঁদের বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন।”

রাজেন্দ্রর দাবি, কোভিড অতিমারির পর আবার বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের পর্যটন ব্যবসা। তাঁর কথায়, “অতিমারি পর্ব কাটিয়ে আমরা ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসাকে আবার দাঁড় করাচ্ছিলাম। কিন্তু এই বৃষ্টি আর বন্যা পরিস্থিতি সেই চেষ্টাতেও জল ঢেলে দিল।” ওই ব্যবসায়ীর আরও দাবি, আগামী তিন মাসের জন্য যে সব বুকিং হয়েছিল রাজ্যে, সেগুলি সব বাতিল করেছেন পর্যটকরা। হোটেলগুলি প্রায় শূন্য।

Advertisement

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মিডিয়া উপদেষ্টা নরেশ চৌহান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি এবং বৃষ্টির কারণে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুর্যোগ পুরো পর্যটন শিল্পের প্রায় কোমর ভেঙে দিয়েছে। কী ভাবে দ্রুত পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা যায় রাজ্যকে তার পরিকল্পনা চলছে।” চৌহান আরও জানান, রাজ্যের মূল লক্ষ হল পর্যটন স্থলগুলিকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। তাঁর কথায়, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement