প্রতীকী ছবি।
গরম প্যান একটু একটু করে জ্বালিয়ে দিচ্ছে ৪ বছরের শিশুটির দেহ। গরম ছ্যাঁকায় মায়ের দিকে হাত বাড়িয়ে আর্তনাদ করছে সে। অথচ তার কিছু দূরে দাঁড়িয়েই সে দৃশ্য ‘উপভোগ’ করছে তার মা! পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। শিশুটিকে বাঁচানোর বদলে খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে দু’জনের মুখ!
সম্প্রতি এমনই নৃশংস এবং মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদ। তেলঙ্গানার শিশু কল্যাণ দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মহিলা এবং তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে।
হায়দরাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, ললিতা নামে ওই মহিলা প্রথম স্বামী এবং তিন মেয়েকে নিয়ে শ্রীকাকুলামে থাকতেন। কিন্তু প্রকাশ নামে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস দুয়েক আগে ওই মহিলা তাঁর প্রথম স্বামীকে ছেড়ে প্রকাশের সঙ্গে হায়দরাবাদে চলে আসে। সঙ্গে ৪ বছর বয়সী ছোট মেয়ে। কিন্তু, ওই শিশুটিকে ঘিরেই দু’জনের ঝামেলা শুরু হয়। প্রকাশ শিশুটিকে মেনে নিতে পারেননি। শিশুটি তাঁদের সঙ্গে থাকুক তা তিনি চাইতেন না। দিনভর অত্যাচার চলত শিশুটির উপর। শুধু প্রকাশই নয়, মা ললিতার হাত থেকেও রেহাই পেত না শিশুটি।
আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ, তোমরা ভেঙে পোড়ো না মা’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন উনুনে বসানো গরম প্যানের উপর শিশুটিকে বসিয়ে দেয় ললিতা। কিন্তু, দীর্ঘ ক্ষণ এ ভাবে বসিয়ে রাখলেও শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। শিশুটির থেকে ‘নিষ্কৃতি’ পেতে ললিতারা এ বার অন্য ফন্দি আঁটে। তাকে ‘ভরসা’ নামে একটি সংস্থার কাছে নিয়ে যায় তারা। দাবি করে, শিশুটিকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছে। সংস্থার লোকেরা শিশুটির সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারে কোথাও একটা গড়বড় রয়েছে। তেলঙ্গানার শিশু কল্যাণ দফতরকে বিষয়টি জানায় তারা। এর পরই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।