Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee: অভিষেকের পদযাত্রা: ফের চিঠি

আগরতলায় ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেকের নেতৃত্বে পদযাত্রা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। সে দিন অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল রয়েছে, এই যুক্তিতে আবেদন খারিজ করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:১১
Share:

ফাইল চিত্র

তৃণমূল কংগ্রেসকে পদযাত্রা করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা পুলিশের টালবাহানা অব্যাহত। আবেদনের চার দিন পরেও ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা করার অনুমতি দেয়নি তারা। এর আগে দু’বার পদযাত্রা করতে দেওয়ার আর্জি খারিজ করেছে পুলিশ। এ বার পুলিশ চুপ করে রয়েছে। অগত্যা তৃণমূলের নেতারা আজ পুলিশের মুখ্য কার্যালয়ে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, অনুমতি দেওয়া হোক বা না হোক, ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা করা হবেই। এবং কোভিড বিধি মনেই তা করা হবে। বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এ দিন তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে আপত্তি না তুললেও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটু ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। নিশানা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও।

Advertisement

আগরতলায় ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেকের নেতৃত্বে পদযাত্রা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। সে দিন অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল রয়েছে, এই যুক্তিতে আবেদন খারিজ করে পুলিশ। দ্বিতীয় দফায়, ১৬ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা করা করার অনুমতি চায় তারা। পরের দিন বিশ্বকর্মা পূজার জন্য আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে সেই আর্জিও খারিজ করে পুলিশ। এ সব বিজেপির চক্রান্ত বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আজ তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য শান্তনু সেন, রাজ্য তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস-সহ একটি প্রতিনিধি দল পুলিশের মুখ্য কার্যালয়ে যায়। পদযাত্রা করার অনুমতি চেয়ে তারা ফের চিঠি দিয়েছে। পরে সুবল বলেছেন, “আগামী ২২ তারিখ পদযাত্রা করার অনুমতি চেয়ে সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। পুলিশকে চিঠি দিলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো নিয়ম। চার দিন পার হয়ে গিয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। তাই আজ বাধ্য হয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধানের কাছে আবার চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হল।” সুবল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জবাব দিতে এই বিলম্বের পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। পুলিশ হয়তো এ বারও শেষ মুহূর্তে অনুমতি না দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠাবে।

বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “প্রশাসন যদি মনে করে অনুমতি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি রয়েছে, তা হলে নিশ্চয়ই দেবে।” সঙ্গে নবেন্দুর আক্রমণ, “বিজেপি সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখটি কয়লায় কালো হয়ে রয়েছে। ত্রিপুরায় আসার আগে ধুয়ে পরিষ্কার করে এলে ভাল হয়।” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে নিশানা করে নবেন্দুর অভিযোগ, “তিনি রাজ্যের মানুষের অনেক টাকা গায়েব করেছেন। রাজ্যের অনেক সাংবাদিকও ওঁর শোষণের স্বীকার হয়েছেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement