আগরতলার হোটেলের বাইরে তৃণমূলে যোগদানকারী নেতাদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র
ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে তৃণমূল।
ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সদস্যদের প্রথমে গৃহবন্দি করা ও পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনাকে জাতীয় স্তরে প্রচারের আলোয় আনতে পেরেছে তৃণমূল। তাতে দলের কিছুটা সুবিধে হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই গত কাল রাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন নেতা। ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা তৃণমূল নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, বিজেপি-সহ অন্য দলের আরও কয়েক জন নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
গত কাল রাতে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, আগরতলা পৌরপরিষদের প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দেব-সহ সাত জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগরতলার একটি হোটেলের বাইরে এই সাত জনের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল নেতারা।
যোগ দেওয়ার পরে সুবল জানান, ত্রিপুরার স্বার্থেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই রাজ্যে কোনও বাক্স্বাধীনতা নেই। শাসক বিজেপি রাজ্যে বিরোধী দলের অস্তিত্ব রাখতে চায় না। সুবলের দাবি, ত্রিপুরায় ২০২৩-এ তৃণমূল সরকার হবে।
সুবলের প্রশ্ন, রাজ্যের আইনমন্ত্রী পাঁচ হাজার লোক জড়ো করে ত্রাণ বিলি করছেন। সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে না? আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কি কোনও মামলা হয়েছে? তাঁর দাবি, গত কাল আগরতলার একটি হোটেলে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড বিধি মেনে চললেও ওই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ত্রিপুরার পরিস্থিতি দেখেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ, ত্রিপুরা সরকার নানা ভাবে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে। মলয় ঘটক জানান, সোমবার ত্রিপুরায় এসে প্রথমে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন অভিষেক।