Biplab Deb

Biplab Deb resigns: কামড়াকামড়ির জেরেই বিপ্লব দেবের ইস্তফা! ত্রিপুরা-কাণ্ডে টিপ্পনী তৃণমূলের

কুণালের খোঁচা, ‘‘বিজেপির অন্দরে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে তা সামলানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না মোদী, শাহ, নড্ডারা।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ১৭:০৫
Share:

ফাইল ছবি।

নাটকীয় ভাবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায়, এই মুহূর্তে বিপ্লব দেবকে নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। ত্রিপুরার আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই এ বার বিজেপিকে কটাক্ষ করল তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতে, নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সরে যেতে হল বিপ্লবকে। একে চূড়ান্ত গোষ্ঠীবাজির পরিণতি বলেও খোঁচা দিয়েছেন কুণাল।

আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বিপ্লব দেব ইস্তফা দিলেন কেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। একটি সূত্রের দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হল বিপ্লবকে। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা তথা কেন্দ্রের শাসক দলকে কটাক্ষ করতে দেরি করেনি তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল বলেন, ‘‘মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ফেরাতে মরিয়া বিজেপি এ ভাবে মুখরক্ষা করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হবে না। এটি বিজেপির চূড়ান্ত গোষ্ঠীবাজির পরিণতি। সবই বিজেপির ক্ষমতার দখলের খেলা। ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। যারা এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে একটি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করাতে পারে না, তারা কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে?’’ কুণালের খোঁচা, ‘‘নেতারা সব নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়িতে ব্যস্ত। বিজেপির অন্দরে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে তা সামলানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না মোদী, শাহ, নড্ডারা।’’

Advertisement

ঘটনাচক্রে, শনিবারই ত্রিপুরার একটি আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য কুণালের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লবের মেয়াদ ফুরোতে বাকি ছিল আরও দশ মাস। কিন্তু তার আগেই তড়িঘড়ি ইস্তফা দিয়ে খেলা জমিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement