কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের সঙ্গে সংসদে এবং জাতীয় স্তরে সমঝোতার প্রশ্নে মিশ্র-কৌশল অব্যাহত রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাতে সমস্ত সংসদীয় বিরোধী দলনেতাকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি দেশের বর্তমান শাসক দলের বিভাজনের রাজনীতির কথা সবিস্তার ব্যাখ্যা করে নিজের ভারত জোড়ো যাত্রায় বিরোধীদের শামিল হতে আহ্বান করেছেন। এই চিঠি গিয়েছে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কাছেও। তৃণমূল শীর্ষ সূত্রের খবর, রাহুলের যাত্রার সঙ্গী না-হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে দল।
চলতি শীতকালীন অধিবেশনের গোড়াতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লি আসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেছিলেন, তাঁরা নরমে গরমে বিরোধিতার স্বর তুলবেন শীতকালীন অধিবেশনে। এ কথাও বলেছিলেন নেত্রী, যে সব বিরোধী দল সমন্বয় করতে চাইবে তাদের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে বিরোধিতা করা হবে।
সেই সূত্র ধরেই দেখা গেল বিরোধী দল নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা প্রথম বিরোধী দলের বৈঠকে তাঁর ঘরে গেলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আজ এবং এর আগের দিনের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। গত কাল গান্ধী মূর্তির তলায় কংগ্রেস-সহ ১২টি দলের প্রতিবাদ ধর্নাতেও তারা সামিল হয়নি।
রাহুলের যাত্রায় যোগ না-দেওয়ার কী কারণ দেখাচ্ছে তৃণমূল? দলীয় সূত্রের বক্তব্য, এই চিঠিটি যিনি সংসদীয় দলনেতাদের লিখছেন সেই রাহুল গান্ধী নিজে সংসদীয় দলের নেতা নন, দলের সভাপতিও নন। চিঠিটি আসা উচিত ছিল মল্লিকার্জুন খড়্গে অথবা সংসদীয় দলের নেতাদের কাছ থেকে। দ্বিতীয়ত, চিঠিতে রাহুল ডেরেক বা সুদীপকে লিখেছেন, তিনি তাঁদের দলের অন্য সাংসদদেরও আলাদা করে চিঠি পাঠাচ্ছেন। এই বিষয়টিও যথেষ্ট আপত্তিজনক এবং নিয়ম বহির্ভূত বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে রাহুলের যাত্রায় যোগ না-দিলেও আজ রাজ্যসভায় বিরোধীদের সম্মিলিত বয়কটে সাড়া দিয়ে তাদের সঙ্গে কক্ষত্যাগ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে।