ডেরেক ও’ব্রায়েন।
সংসদের দু’টি কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের বিরোধিতা করে নোটিস দিল তৃণমূল। সমস্ত সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করা হয়েছে। তবে বিতর্কের পর বিল নিয়ে ভোটাভুটির সময় রাজ্যসভায় সরকারের বিরোধিতা করে তারা ভোট দেবে কি না, তা দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে নির্দেশ দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় যেহেতু বিরোধীদের সঙ্গে সরকারপক্ষের ব্যবধান কম, তাই দু’টি কক্ষে ভোটদানের সময় দু’রকম কৌশল নিতে পারে তৃণমূল।
আজ তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘‘বক্তৃতার সময়ে বিলটিকে দু’কক্ষেই বিরোধিতা করার সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিল পেশ করার সময় বিরোধিতা করে নোটিস দেওয়ার ফলে আমরা গোড়া থেকেই প্রতিবাদ করতে পারব।’’ ডেরেকের দাবি, গত পাঁচ দিন কংগ্রেস, বাম, এনসিপি, ডিএমকে-সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে বিল সংক্রান্ত বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত ৮ দফা বিরোধিতার নকশা ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার ভুল বোঝাচ্ছে এবং তড়িঘড়ি বিল এনে অসমে বহু হিন্দু বাদ পড়ার ক্ষত মেরামতি করতে চাওয়া হচ্ছে— আগামি ক’দিনে সংসদে এই বক্তব্যই তুলে ধরবে তৃণমূল। ডেরেকের কথায়, ‘‘বিলটির সমর্থনে সাংসদদের সংখ্যা বেশি থাকলেও সংসদীয় নৈতিকতার বিচারে এটি খুবই কমজোরি।’’