এবার রাজ্য়পালকে নিয়ে সংসদে প্রস্তাব তৃণমূলের। ফাইল ছবি।
জগদীপ ধনখড়কে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে সরাতে সংসদের উচ্চ কক্ষে দাবি তুলল তৃণমূল। শুক্রবার ধনখড়কে রাজ্যপালের পদ থেকে সরানোর দাবিতে রাজ্যসভায় স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। ১৭০ ধারায় রাজ্যসভায় এই প্রস্তাব এনে তৃণমূলের অভিযোগ, যে ভাবে রাজ্যপাল ধনখড় রাজ্যের প্রতিটি প্রশাসনিক কাজের সমালোচনা করছেন, প্রতিনিয়ত সে নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং নেটমাধ্যমে মন্তব্য করছেন তা গুরুতর বিষয়। তাই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র প্রস্তাব নিয়ে পদক্ষেপের জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সম্মতির প্রয়োজন। তিনি যদি এতে সম্মতি দেন তবে প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরানো নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে আলোচনা হবে। একমাত্র রাষ্ট্রপতিই যে হেতু রাজ্যপালকে নিয়ে এ হেন পদক্ষেপ করতে পারেন, চিঠিতে তাঁর কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
গত কয়েক দিনে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সঙ্ঘাত তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং রাজ্যপালকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়ে দেন রাজ্যপালকে টুইটারে ‘ব্লক’ করে দিয়েছেন। তার পর নেতাজি ইন্ডোরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে কে। মমতা তাঁর কাছে জানতে চান, রাজ্যপাল তাঁদের ফোন করেন কি না। পুলিশ সুপার কোনও রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন কি না, ভরা সভায় সে প্রশ্নও করেন মমতা।
এর আগেও অবশ্য রাজ্যপালকে অপসারণের আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ রাষ্ট্রপতির কাছে এই আবেদন করেছিলেন। সংসদে অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে জানান সুদীপ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ সৌগত রায়। এ বার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনা হল রাজ্যসভায়। অন্য দিকে নানা বিষয়ে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের সমালোচনা করে টুইট-বাণ অব্যাহত রেখেছেন ধনখড়। সম্প্রতি এক টুইটে তিনি কটাক্ষের সুরে লেখেন, কর্ম করে যাবেন, ফলের আশা করবেন না।