সরব তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।
পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেনের এই প্রশ্নের মুখে মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন জ্বালানিতে ভ্যাট কমাচ্ছে না! কংগ্রেস, বিএসপি-র সাংসদেরাও জ্বালানির চড়া দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আজ গুজরাতে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ছিল। সূত্রের দাবি, সেখানে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন প্রশ্ন তোলেন, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম কেন বেড়ে চলেছে? কেন আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমলেও ভারতে তার প্রতিফলন নেই? কোভিড-পর্বে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম থমকে ছিল। তখনও কেন এ দেশে দাম কমেনি? তেলের উপরে উৎপাদন শুল্কের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার গত কয়েক বছরে কত কোটি টাকা ঘরে তুলেছে, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, তেলমন্ত্রী একাধিক বার অভিযোগ তুলেছেন, কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমালেও পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি নিজেদের ভ্যাট কমায়নি। পুরী সেই প্রসঙ্গ তুলে শান্তনুকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ভ্যাট কমাচ্ছে না? শান্তনু বলেন, রাজ্যে এক টাকা ভ্যাট কমানো হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। তা পেলে রাজ্য ক্রেতাদের সুরাহা দিতে পারে। কংগ্রেসের জসবীর সিংহ গিল, বিএসপি-র শ্যাম সিংহ যাদবও জ্বালানির দাম নিয়ে বিরোধিতা করেন।
হরদীপ সিংহ পুরীর সঙ্গে শান্তনু সেনের ‘সংঘাত’ অবশ্য নতুন নয়। গত বছর রাজ্যসভায় পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিবৃতি দিতে গেলে শান্তনু তা তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এর জেরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে পুরী শান্তনুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। শান্তনুকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। আজ তিনি পুরীর জৈব-জ্বালানি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্রের দাবি। কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যশস্য থেকে ইথানল তৈরি করতে চাইছে। তার পিছনে গবেষণা রয়েছে কি না, খাদ্যসঙ্কট হতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তনু। আগামী বৈঠকে সরকার এর জবাব দেবে।