প্রতীকী ছবি।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাড়ন্ত কয়লা। কয়লার জোগান বাড়াতে আজ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে বাড়তি রেকের দরবার করলেন তৃণমূল সাংসদেরা।
ফি মাসে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয় ৫১০ রেক কয়লা। কিন্তু তৃণমূলের ডজন খানেক সাংসদ আজ পীযূষের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস ধরেই কয়লা সরবরাহ খাতে কম রেক পাঠাচ্ছিল রেল। গত দু’মাসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩২৩-এ। এর ফলে রাজ্যের একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। তৃণমূল শিবিরের ভয়, বর্ষার মরসুমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
সূত্রের খবর, পীযূষ বলেন, কয়লা পাওয়া গেলে রেকও পাবেন। আগে কয়লা তো পাওয়া যাক। তিনি উপস্থিত রেল আধিকারিকদের রেক সমস্যা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। পরে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের বৃহত্তম কয়লা খনি দেউচা পাঁচামির দায়িত্ব পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।
তাই বর্তমান সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নেয় দল।’’
পাঁচওয়াড়া কয়লা খনি থেকে থেকে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডকে। ওই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্যও রেলমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সাংসদেরা। আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা অংশে মণিগ্রাম স্টেশন থেকে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত বিদ্যুদয়নের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং সাগরদিঘি, কোলাঘাট ও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা তোলা-নামানোর জন্য উন্নত রেক দেওয়ার দাবি করা হয় রেলমন্ত্রীর কাছে।
সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সমস্যা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রশ্নে রাজ্য যাতে এগিয়ে আসে, তার জন্য তৃণমূল সাংসদদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ করেন পীযূষ।
ফি বৃহস্পতিবারেই সংসদে নিজের ঘরে বসে সাংসদদের অভাব-অভিযোগ শোনেন রেলমন্ত্রী। আজ তাঁর ঘরে এত ভিড় যে ঢোকাই দায় হয়ে পড়েছিল সাংসদদের। ঘর থেকে বেরনোর আগে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় হাসতে হাসতে রেলমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘আপনার ঘরে যা ভিড়, প্ল্যাটফর্মের ভিড়কেও হার মানায়।’’ হেসে ফেলেন পীযূষ।