Siddaramaiah oath

সময় পেলে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে সিদ্দাকে জানালেন ‘দিদির দূত’

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ। বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা সিদ্দারামাইয়ার হাতে তুলে দেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ২০:০৭
Share:

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ফাইল চিত্র।

ব্যস্ততার কারণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেননি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। শনিবার তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘দিদির দূত’ হিসেবে গিয়ে এ কথাই জানালেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে কাকলি হাজির হয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা ফুটবল স্টেডিয়ামের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

Advertisement

সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ। বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা সিদ্দারামইয়ার হাতে তুলে দেন তিনি। কী কারণে মমতা তাঁর শপথগ্রহণে হাজির হতে পারেননি তা-ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি। তবে সময় পেলে অবশ্যই তাঁর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান কাকলি।

বারাসতের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা আমি পালন করেছি। দিদির দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তা সিদ্দারামাইয়ার হাতে তুলে দিয়েছি। মমতাদি তাঁকে আগামী পাঁচ বছর ভাল করে সরকার চালাতে বলেছেন।’’ সঙ্গে তিনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সময় পেলেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

Advertisement

সদ্য সমাপ্ত কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস হাইকমাণ্ড সিদ্ধান্ত নেয় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হবেন সিদ্দারামাইয়া। ওই দিনই কংগ্রেসের তরফে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পৃথক ভাবে সিদ্দারামাইয়াও মমতাকে বেঙ্গালুরু আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু শুক্রবার তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যস্ততার কারণে মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গালুরু যেতে পারছেন না। তাই দিদির দূত হিসেবে সিদ্দিরামাইয়ার শপথে যাবেন কাকলি।

যদিও, সিদ্দিরামাইয়ার শপথে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলির মধ্যে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement