তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে হিংসা, নারী নির্যাতন নিয়ে মোদী সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করার জন্য ঢাক পিটিয়ে যাচ্ছে। আজ লোকসভার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে এই মর্মে সরব হলেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ‘ডাবল ইঞ্জিন’-এর তত্ত্ব যে ব্যর্থ তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাকলির বক্তব্য, “অধিক ইঞ্জিনে গাজন নষ্ট হচ্ছে!”
কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তৃণমূলের এই সাংসদ। বলেছেন, একশো দিনের কাজে দরিদ্র শ্রমিকের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে মণিপুর ঘুরে এসেছেন কাকলি। আজ মেইতেই এবং কুকি ভাষায় কয়েক লাইন বলে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। জানান, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জুন মাসেই মণিপুরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যায় মণিপুর।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জনা জ্যোতি, কাকলির বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, কোনও রাজ্যের প্রতি কোনও পক্ষপাত করা হয় না। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় যোজনায় পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে। অফিসাররাও তা স্বীকার করেছেন। কেন্দ্র ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। রাজ্য তা নেয়নি। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হলে কেন্দ্র টাকা দিতে রাজি। যেখানে এই ধরনের দুর্নীতি হবে, সেখানেই টাকা দেওয়ার প্রশ্নে কেন্দ্র আপত্তি জানাবে।