দীনেশ-কে ডি অপসারিত হলে কারা আসতে পারেন তাঁদের জায়গায়? —ফাইল চিত্র।
দলের দুই সাংসদকে সমস্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে সরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। রাজধানীতে জল্পনা অন্তত তেমনই। রাজ্যসভার সদস্য কে ডি সিংহ এবং ব্যারাকপুর থেকে লোকসভায় নির্বাচিত দীনেশ ত্রিবেদীকে কোনও সংসদীয় কমিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাখতে চাইছেন না, খবর তৃণমূল সূত্রের। রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন এবং লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলি নতুন করে গঠন করার আগে, ওই সব কমিটিতে দলের প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন, তা যেন তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। চিঠিতে লেখা হয়েছে সে কথাই।
কে ডি সিংহ এখন পরিবহণ, পর্যটন ও অসামরিক বিমান পরিবহণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবেই গত বার ওই কমিটির সদস্য হন তিনি। চেয়ারম্যানও মনোনীত হন। একই ভাবে দীনেশ ত্রিবেদীকে করা হয়েছে রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। দীনেশের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্ক যে এখন তলানিতে, তা বাংলার রাজনৈতিক শিবিরে প্রায় কারওরই অজানা নয়। নারদ নিউজের স্টিং ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে দীনেশ ত্রিবেদী অভিযুক্ত সতীর্থদের বিরুদ্ধে যে ভাবে মুখ খুলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে অত্যন্ত রুষ্ট হন। অভিযুক্ত মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলীয় বৈঠকেও তিনি দাবি তোলেন। দীনেশের সে দাবি যে তৃণমূল নেতৃত্ব মানেনি, তা বলাই বাহুল্য। বরং বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কালীঘাটে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, সেখানে যোগ দিতে দীনেশ ত্রিবেদীকে বারণ করে দেওয়া হয়। কে ডি সিংহের সঙ্গেও বেশ কিছু দিন ধরেই দূরত্ব বজায় রাখছে বাংলার শাসক দল। তাই দলের হাতে যে সব সংসদীয় কমিটির সদস্য পদ এবং শীর্ষ পদ থাকছে, সেগুলিতে এই দুই সাংসদকে আর রাখা হবে না বলে জল্পনা তীব্র।
আরও পড়ুন: দ্বিগুণ হচ্ছে সাংসদদের বেতন
আগামী এক মাসেই বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। সেই সব কমিটিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই এ বার থাকবেন নাকি তৃণমূল নতুন কোনও প্রতিনিধি পাঠাতে চায়, তা যেন তৃণমূলের কাছ থেকেই জেনে নেওয়া হয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকারকে চিঠিতে সেই অনুরোধই জানানো হয়েছে। বেশ কিছু কমিটিতে নিজেদের প্রতিনিধি বদলও করতে চায় তৃণমূল। যেমন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল এত দিন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু তিনি অন্য কোনও কমিটিতে যেতে চান।
কে ডি সিংহকে সরানো হলে মুকুল রায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে খবর। রেল স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দীনেশ ত্রিবেদীর জায়গায় আসতে পারেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।