Mamata Banerjee

‘দুর্নীতিগ্রস্তেরা বিজেপিতে গেলেই ছাড়’! কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতাদের

চিঠিতে অভিযোগ, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু ওই নেতারা যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তখন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত থমকে যাচ্ছে। উদাহরণ টানা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৩
Share:

মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা-সহ বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে যে ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। এমনই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের ৯ বিরোধী নেতা। তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষান্ত হননি। উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন কয়েক জন নেতা যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। কিন্তু যেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, সেই মামলাগুলির গতিপ্রকৃতি আর জানা যায়নি।

Advertisement

মূলত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই চিঠি হলেও তাতে উঠে এসেছে একাধিক বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তের কথা। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা ওই চিঠিতে সই রয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) প্রধান চন্দ্রশেখর রাও, জম্মু এবং কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ার, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে যে ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে তাদের ভাবমূর্তি এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে।

সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।

মমতাদের অভিযোগ, ২০২৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি রাজনীতিকদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মামলা দায়ের হচ্ছে। গ্রেফতারও হচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। এবং ঘটনাক্রমে তাঁরা প্রত্যেকেই বিরোধী দলের নেতা বা নেত্রী। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে মোদীর কাছে এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, কোনও বিরোধী দলে থাকাকালীন যে নেতার বিরুদ্ধে যে মামলাই হোক না কেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা, টানা হয়েছে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের প্রসঙ্গও। পাশাপাশি চিঠিতে উঠে এসেছে সম্প্রতি দিল্লির মন্ত্রী মণীশ সিসৌদদিয়ার কথা।

Advertisement

চিঠিতে লেখা হয়েছে সারদা চিটফান্ড মামলায় হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ২০১৪-’১৫ সালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরি ইডি, সিবিআইয়ের সেই মামলা থমকে যায়। একই ভাবে শুভেন্দু, মুকুল নারদাকাণ্ডে ইডি এবং সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত থমকে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement