সাংবাদিক বৈঠকে সুস্মিতা দেবের সঙ্গে ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি পিটিআই।
সুস্মিতা দেবকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ দিল্লিতে সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পরে এখন আমাদের লক্ষ্য ত্রিপুরা জয়। সে জন্য আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।” সুস্মিতা কংগ্রেস ছেড়ে গত কালই তৃণমূলের সদস্যপদ নিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে ডেরেক এ দিন বলেন, “খুব শীঘ্রই ত্রিপুরা সফর করবেন সুস্মিতা। উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্য নিয়ে আমাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জানাতে থাকব।”
ত্রিপুরায় নেতৃত্ব দিতেই যে প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যাকে দলে আনা হয়েছে, ডেরেক কার্যত এ দিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সুস্মিতা অবশ্য বলেন, "নিঃশর্তে তৃণমূলে এসেছি৷ দল যে দায়িত্ব দেবে, তা-ই পালন করব৷" পাশাপাশি শোনান, “আমি যে কাজটা করতে চাই, বিবেক বলছে, মমতাদির নেতৃত্বেই তা ভাল ভাবে করতে পারব৷”
আগরতলায় এ দিন ত্রিপুরা জয়ের সঙ্কল্প শোনালেন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষও। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে তিনি ৭০ জন দলত্যাগীর হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কয়েক দিন আগেই আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, বিজেপির লোকজনও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী আজ জানালেন, এ দিন যাঁরা ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন, তাঁদের কয়েক জন এসেছেন বিজেপি থেকে। বাকিরা কেউ কংগ্রেস করতেন, কেউ সিপিএম। সায়নীর দাবি, “সময় যত গড়াবে, ত্রিপুরার বহু বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন।” সায়নী এসেছিলেন গত কাল। আজ কলকাতায় ফিরেছেন। ত্রিপুরায় রয়ে গিয়েছেন শক্তিপ্রতাপ সিংহ, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পারমিতা সেনরা।
বিজেপির নির্দেশে আজ তাঁর হোটেলে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুতের লাইন কাটা ছিল, অভিযোগ করেন সায়নী। হোটেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, যান্ত্রিক সমস্যা ছিল। সায়নীর কথায়, “গেরুয়া মানুষগুলির বুদ্ধিসুদ্ধি নেই। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের দেখেও বুঝতে পারেনি, এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা অভ্যস্ত। গাড়ির মালিকদের ধমকে, হোটেলে বিদ্যুতের লাইন কেটে কিছু করতে পারবে না। বরং নিজেদের সামলে রেখো। হাজার হাজার মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সবাই বলছেন, এ বার মাটি ছাড়ব না।”