TMC

Prayagraj case: প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ, মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূলের কমিটি

রবিবার প্রয়াগরাজে যায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর-সহ পাঁচ সদস্যের এক সত্যানুসন্ধানী দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৭
Share:

ফাইল ছবি।

প্রয়াগরাজের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি। ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার চিঠিটি পাঠিয়েছেন তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির পাঁচ সদস্য।

রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে যান রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। শনিবার উত্তরপ্রদেশের একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করা হয়। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেভরাজপুরে দু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেখানে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের অভিযোগের কথা জানতে চান তৃণমূল সাংসদরা। নিহতদের পরিবারের সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সুনীল সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের দেহের উপর কোনও কাপড় ছিল না। এটা বড় রকমের ষড়যন্ত্র। আমি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই।’’ তাঁর মুখ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।

Advertisement

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে সেই অভিযোগের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, সুনীল জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশ তাঁর বয়ান অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করলেও, এফআইআরে ধর্ষণের উল্লেখ করেনি। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেই এফআইআর করতে হবে। অথচ নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করা সত্ত্বেও বিষয়টি এফআইআরে রাখা হয়নি। তৃণমূলের প্রতিনিধিদল প্রয়াগরাজের পুলিশ সুপার অভিষেক অগ্রবালের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা এখনও নেয়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

চিঠিতে তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি দাবি করেছে, প্রয়াগরাজের ওই এলাকায় গত এক মাসে ৩১টি খুন হয়েছে। রাজনীতর কারবারিদের একাংশের অভিমত, এমন কথা বলে কার্যত উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি। গতবছর বিধানসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে সক্রিয়তা দেখিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় তারা সে ভাবে সরব হয় কি না, তা দেখতেই এমন কুশলী চাল দিয়েছে বাংলার শাসকদল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement