—প্রতীকী চিত্র।
বেঙ্গালুরু বিরোধী বৈঠকে আলাদা করে উঠেছে মণিপুর প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই আবহে আগামিকাল মণিপুরে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে এই দলে থাকবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সুস্মিতা দেব।
রাজ্যে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মঙ্গলবার আর্জি জানিয়েছেন অলিম্পিকে রুপোজয়ী ভারোত্তোলক এস মীরাবাই চানু। এর আগে একই অনুরোধ করেছিলেন কিংবদন্তি অ্যাথলিট পিটি ঊষা। চানু বলেন, ‘‘আমি এখন আমেরিকায় এশিয়ান গেমস ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তৈরি হচ্ছি। কিন্তু আমার বাড়ি মণিপুরে, সব কিছুই ওখানে।’’ মণিপুরে একের পর এক প্রাণহানি তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছে বলে জানান চানু। এর পরেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, এখন অন্তত কিছু বলুন।’’
সংঘর্ষের জেরে ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক সোমবার থেকে ফের অবরুদ্ধ। এটিই মূলত মণিপুরের সরবরাহ লাইন। এই অবস্থায় রাজ্যে পণ্যের সঙ্কট কাটাতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তামেংলং জেলার খংসাং পর্যন্ত অত্যাবশ্যক সামগ্রী ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ করবে বলে জানিয়েছে। গত বছরেই জিরিবাম-ইম্ফল রেললাইন খংসাং পর্যন্ত পৌঁছেছে। শুধু যাত্রী ওঠা-নামার জন্যই স্টেশনটি ব্যবহৃত হচ্ছিল। মে-তে সংঘর্ষ শুরু হলে সেই রুটে ট্রেন বাতিল করা হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে মণিপুরের বিভিন্ন জেলার স্পর্শকাতর ১২৩টি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে চেকপয়েন্ট। বিভিন্ন জেলায় মোট ৪৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মণিপুরে নিহত নাগা মহিলা লুসি মারেমের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল এবং কো-অর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটি-র প্রতিনিধিরা। সেই আলোচনায় স্থির হয়, লুসির মেয়ে চাকরির উপযুক্ত হয়ে উঠলে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি পাবে। শেষে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল আর আন্দোলন না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এই সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও স্বাক্ষরিত হয়।
তবে মঙ্গলবার এক আইজিপির গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এক দল মেইতেই বিক্ষোভকারী। অধিকাংশই মহিলা। আইজিপি (গোয়েন্দা) কাবিব কে অবশ্য তখন গাড়িতে ছিলেন না। তবে গাড়ি বাঁচাতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে পুলিশের গাড়িচালককে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷