ফাইল চিত্র।
সংসদের সাম্প্রতিক বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের আচরণ নিয়ে বিশেষ শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটি গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। এই কমিটিতে বিরোধীদেরও থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দল। সূত্রের খবর, কমিটি তৈরি হবে। কিন্তু সেখানে বিজেপি ছাড়া থাকতে পারে বিজেডি, টিআরএস, বিএসপি-র মতো বিজেপির প্রতি ‘বন্ধুমনোভাবাপন্ন’ বিরোধী দলগুলি।
গত ৪ তারিখ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ফোনে এই কমিটি গড়ার বিষয়টি জানান বেঙ্কাইয়া। খড়্গে এই নিয়ে কথা বলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে। উভয় দলের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, কমিটিতে যোগ দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই, বরং ধিক্কার জানানো হবে। এ ব্যাপার একমত হয়েছে বেশির ভাগ বিরোধী দল। মল্লিকার্জুন আজ দু’পাতার চিঠি লিথেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলি সংসদের নিয়ম এবং আইন মেনে প্রতি দিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে দু’কক্ষে আলোচনার জন্য বার বার নোটিস দেয়। কিন্তু সরকারপক্ষ তা অগ্রাহ্য করে। পাশাপাশি জোর করে বিভিন্ন বিল আলোচনা ছাড়াই পাশ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও চিঠিতে করেছেন বিরোধী দলনেতা।
১১ অগস্ট কংগ্রেস এবং আপ-এর কিছু সাংসদ রাজ্যসভার রিপোর্টার্স টেবলে উঠে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন চেয়ারের দিকে। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটির অবতারণা চেয়ারম্যানের। মল্লিকার্জুন লিখেছেন, তিনি মনে করেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রতিবাদের ভূমিকা রয়েছে. এই ধরনের কমিটি গঠন করে যারা সরকারের সমালোচনা করবে বা প্রতিবাদ জানাবে তাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা ডেরেকের কথায়, “এখন তো দেখা যাচ্ছে, সংসদের ভিতরেও সাংবিধানিক পদাধিকারীরা বিজেপি-র পতাকা নিয়ে ঘুরছেন।” তিনি জানান, এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং অন্যান্য বিরোধীদের কথা হয়েছে। কেউই ওই কমিটিতে থাকবেন না। এ ব্যাপারে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ।