ফাইল ছবি।
ক্ষমতায় ফিরেই কর্নাটকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিল মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। বাতিল করা হল রাজ্যে টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালনের সবক’টি সরকারি কর্মসূচি। কারণ দেখাতে গিয়ে ইয়েদুরাপ্পা সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ওই জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন ‘যেমন বিতর্কিত তেমনই অসাম্প্রদায়িক’। পরে রাজ্য বিজেপির তরফেও ইয়েদুরাপ্পা সরকারের এই পদক্ষপকে পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়েছে।
মাইসুরুর সুলতান টিপুর জন্মদিন ১০ নভেম্বর। সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই কর্নাটকে টিপুর জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন শুরু হয়। ২০১৫ সাল থেকে। ওই সময়েই টিপুর জন্মজয়ন্তী পালনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের পর জেডিএসও এই বছর টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ক্ষমতায় ফিরেই তা বাতিল করল ইয়েদুরাপ্পা সরকার।
মাইসুরুর সুলতান টিপু ছিলেন ব্রিটিশের ঘোর শত্রু। ১৭৯৯ সালের মে মাসে শ্রীরঙ্গপটনার যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে হেরে যান টিপু। তাঁকে খুন করা হয়। কর্নাটকের কোড়াগু জেলায় অবশ্য ততটা জনপ্রিয় নন টিপু। সেখানকার কোড়াভাস জনগোষ্ঠীর মানুষ এখনও টিপুকে ভাল চোখে দেখেন না। তাঁদের অভিযোগ, ওই জনগোষ্ঠীর মানুষ লড়াকু যোদ্ধা ছিলেন বলে টিপু কোড়াভাসদের হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলাকে ব্নিদ করে রেখেছিলেন। তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিলেন। তাঁদের জোর করে ধর্মান্তরিত করেছিলেন ইসলাম ধর্মে।
আরও পড়ুন- কর্নাটক: আস্থাভোটে জয়ী হলেন ইয়েদুরাপ্পা
আরও পড়ুন- সেতুতে গাড়ি রেখে ‘নিরুদ্দেশ’ সিসিডি-র মালিক, এসএম কৃষ্ণার জামাই সিদ্ধার্থ
টিপুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, মাইসুরুর তদানীন্তন মহারাজাকে সমর্থন করেছিলেন বলে দীপাবলীর রাতে মান্ডায়ম আয়াঙ্গারদের মাথা কাটা হয়েছিল। ইতিহাসবিদরা অবশ্য টিপুকে এক জন ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক শাসক হিসাবেই বর্ণনা করেছেন। যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন আজীবন।