—প্রতীকী চিত্র।
সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ নাবালিকার মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই নাবালিকার খোঁজ মিলছিল না। তার মায়েরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজদের সন্ধান চালানোর সময়েই শনিবার বাড়ির অদূরে একটি চাষের জমিতে পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেটি খুলতেই উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। গলায় ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় মৃত নাবালিকার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। পরে যখন বাড়ি ফেরেন, তখন থেকেই মেয়ে ও মায়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই, তিনি জানতে পারেন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগ ক্রমে বাড়তে থাকে পরিবারের সদস্যদের।
এরই মধ্যে শনিবার বাড়ির অদূরেই একটি চাষের জমিতে পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে তিন বছরে মেয়ের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল এবং ডগ স্কোয়াডকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু নাবালিকার মায়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। উল্টে ঘটনার পর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ অবস্থায় রয়েছে। পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে গয়না, আধার কার্ড এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই মেয়েকে খুন করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন মহিলা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
তদন্ত প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে পুলিশের এসএইচও রাম প্রসাদ বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। ওই মহিলা কোথায় রয়েছেন, তা মোবাইলের লোকেশন দেখে জানার চেষ্টা চলছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই ট্রলি ব্যাগটি মহিলার ভাইয়ের।”