চিনা মাঞ্জায় গলা কেটে মৃত্যু বিপিনের।
বোনের হাতে আর রাখি পরা হল না বছর পঁয়ত্রিশের বিপিনের। তার আগেই চিনা মাঞ্জা কেড়ে নিল প্রাণ।
বিপিন কুমার। দিল্লির রাজধানী পার্কের নাগলোইয়ের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী লোনিকে নিয়ে বাইকে করে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বিপিন। শাস্ত্রী পার্কের কাছে উড়ালপুলে উঠতেই চিনা মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ির সুতো বিপিনের গলায় এসে লাগে। চলন্ত বাইক থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ছিটকে পড়েন বিপিন।
তাঁদের পড়ে যেতে দেখেই পথচারীরা উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। প্রথমে কেউই বুঝতে পারেননি ঠিক কী হয়েছে। এমনকি বিপিনের স্ত্রীও। তার পরই সকলের নজর যায় বিপিনের গলার দিকে। তখন বুঝতে আর বাকি ছিল না কী হয়েছে।
বিপিনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২০১৬-তেই দিল্লিতে নিষিদ্ধ হয়েছে চিনা মাঞ্জা। কিন্তু তার পরেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাগাতার এই মাঞ্জার ব্যবহার চলছে। এক মাসেই এই নিয়ে দ্বিতীয় বার চিনা মাঞ্জায় মৃত্যু হল দু’জনের।
এ মাসের গোড়াতেই দিল্লি হাই কোর্ট পুলিশের কাছে জানতে চায় চিনা মাঞ্জা নিয়ে তারা কী পদক্ষেপ করেছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এই মাঞ্জার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলে। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে এই মাঞ্জা দেওয়া সুতো দোকানে বিক্রি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতাতেও এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন বহু বাইক আরোহী। মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আহত, এমনকি মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। বার বার একই ঘটনা ঘটায় উড়ালপুলের রেলিংয়ের উপরে উঁচু করে জাল লাগানো হয়।