অসমে নৌকাডুবিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার ঝড়ের তাণ্ডব দেখা গিয়েছে অসমেও। রাতে ব্রহ্মপুত্র নদীতে ঝড়ের ধাক্কায় উল্টে গিয়েছে একটি যাত্রিবাহী নৌকা। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দু’জন শিশু। নৌকাটিতে মোট ২০ জন যাত্রী ছিলেন। নৌকাডুবিতে তাঁদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
রবিবার রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বহু জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে অনেকের। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঝড়ের কারণে। অসমের দক্ষিণ শালমরা মানকাচর জেলায় রাতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ২০ জন যাত্রীকে নিয়ে রাতে নৌকাটি ব্রহ্মপুত্রের কালি আলগা ঘাট থেকে নেপুর আলগা চরঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। আচমকা মাঝপথে ঝড় ওঠে। ঝোড়ো হাওয়ায় নদীর জল উথালপাথাল করতে শুরু করে। নৌকাও সেই সঙ্গে বিপজ্জনক ভাবে দুলে ওঠে। সঙ্গে চলছিল মুষলধারে বৃষ্টি। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হাওয়ার ক্রমাগত ধাক্কায় মাঝ নদীতে একসময় নৌকাটি উল্টে যায়। যাত্রীরা জলে পড়ে যান।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৎক্ষণাৎ। প্রশাসনের তরফেও তৎপরতা শুরু হয়। যাত্রীদের কোনও রকমে উদ্ধার করে স্থলভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন জনকে বাঁচানো যায়নি।
মৌসম ভবনের তরফে অসমে আবহাওয়া পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবনের স্থানীয় আবহবিদেরা গুয়াহাটি থেকে জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব অসমের উপরে এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ১.৫ কিলোমিটার। তার কারণেই অসমে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ এপ্রিলের আগে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। আহতের সংখ্যা শতাধিক। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন। রাত কাটাতে হয়েছে খোলা আকাশের নীচে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সেখানে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।