মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাম জেঠমলানী যে তিন নেতার কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে আজ দেখা করলেন তাঁরা। তবে বৈঠকের পরে মমতার নাম সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেননি বিজেপির তিন বিক্ষুব্ধ নেতা— যশবন্ত সিন্হা, শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং অরুণ শৌরির কেউই। শৌরির বক্তব্য—সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসবে নেতা।
মমতার এই তিন প্রাক্তন সতীর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজ বুঝিয়ে দিয়েছেন— কংগ্রেসকেও চান তাঁরা। মোদী-বিরোধী মঞ্চে রাহুল গাঁধীর দল সামিল হলে জোর বাড়বে। গুজরাতের ভোটে তো যশবন্ত রাহুলকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন।
তবে এখনই মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে না-ধরলেও, ফ্রন্ট গড়া নিয়ে মমতার দেওয়া সূত্রটিকে মানছেন শৌরি। তিনি বলেন, ‘‘একের বিরুদ্ধে এক— এই সূত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করলে আমরা গোড়াতেই ৬৯ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে শুরু করব। কারণ বিজেপির হাতে এখন ৩১ শতাংশ ভোট রয়েছে।’’ মমতাও চাইছেন তৈরি হওয়ার পরে আঞ্চলিক দলগুলির জোট ‘ফেডারাল ফ্রন্ট’-কে কংগ্রেস সমর্থন করুক। আজ শৌরি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের অবশ্যই উচিত অন্য দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করা। বিহারে এই কাজ করে তারা ফল পেয়েছিল। কিন্তু ত্রিপুরায় মমতার প্রস্তাব ফিরিয়ে ভুগেছে তারা। অসমেও একই পরিণতি হয়েছে।’’
মমতাকে পাশে নিয়ে যশবন্ত বলেন, ‘‘আমরা পুরনো সতীর্থ। অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় কাজ করেছি। এখন সময় এসেছে দেশকে বাঁচানোর। মমতা এই লড়াইয়ে যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। উনি জননেত্রী!’’ একই কথা বলেন শক্রঘ্ন।
এ ছাড়াও আজ মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর সামনেই মমতা ফোন করেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করান মমতা। তিনি ফোনে কথা বলেন সপা নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী আজ টুইট করে পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র মিছিলের নিন্দা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। পরে মমতা মায়াবতীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন, ‘আপনি বিজেপি সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ায় তারা ভয় পেয়েছে।’