কাজ নেই, তিন শ্রমিক আত্মঘাতী অন্ধ্রপ্রদেশে

তাঁদের এক জন, গুন্টুরের বেঙ্কটেশ নিজেকে শেষ করে ফেলার আগে ভিডিয়োয় অভিযোগ করে যান— হাতে কাজ নেই, পরিবার না খেয়ে রয়েছে, তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিন সপ্তাহ আগের সেই ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসার পরে হইচই শুরু হয়েছে। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্মাণ কাজে প্রয়োজনীয় বালিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। আর তার ফলে গত ছ’মাস ধরে থমকে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের নির্মাণ ও আবাসন শিল্প। কাজ নেই লক্ষ লক্ষ নির্মাণ শ্রমিকের। কয়েক মাসে তেনালি, গুন্টুর ও মঙ্গলগিরিতে আত্মঘাতী হয়েছেন তিন জন শ্রমিক। তাঁদের এক জন, গুন্টুরের বেঙ্কটেশ নিজেকে শেষ করে ফেলার আগে ভিডিয়োয় অভিযোগ করে যান— হাতে কাজ নেই, পরিবার না খেয়ে রয়েছে, তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিন সপ্তাহ আগের সেই ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসার পরে হইচই শুরু হয়েছে।

Advertisement

গোরাথলা গ্রামে বেঙ্কটেশের পড়শিরা বলছেন, এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পেশাদার নির্মাণ শ্রমিক। ছয়-সাত মাস হল, কারও হাতে কাজ নেই। এক পড়শি বলছেন, ‘‘আরও লোকজন যে ওই পথে হাঁটবেন না, কে বলতে পারে! সরকারের উচিত এখনই এমন পদক্ষেপ করা, যাতে পরিস্থিতি বদলায়।’’

আত্মঘাতী শ্রমিকদের পরিজনেরা বলছেন, নির্মাণ শ্রমিকেরা এই কাজ ছাড়া অন্য কিছু জানেন না। ভাষার সমস্যার জন্য তাঁরা অন্য রাজ্যে যেতে চান না। এত দিন এই রাজ্যেই মিস্ত্রি ও জোগাড়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন তাঁরা। এখন সব বন্ধ।

Advertisement

বালি তোলার ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়পত্রের বিধি তুলে দিয়েছিল চন্দ্রবাবু নায়ডু সরকার। ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিয়ম করেন, কেবল মাত্র সরকারি বন্টনকেন্দ্র থেকেই নির্মাণ কাজের জন্য বালি নিতে হবে। তাতেই সমস্যা। এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছে জনসেনা পার্টি। দলের প্রধান পবন কল্যাণ বলেন, ‘‘নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত প্রায় ৩০ লক্ষ পরিবার। রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতিতে মাসের পর মাস তারা কর্মহীন। কেন্দ্রের উচিত, এখনই তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।’’ আবার কর্মহীন শ্রমিকদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তেলুগু দেশম পার্টি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement