স্কুলে শিশুকে যৌন নিগ্রহ

স্কুল থেকে ফেরার পরেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের মেয়েটি। মাকে জানিয়েছিল তার গোপনাঙ্গে ব্যথা করছে!  এর পরেই জানা যায় স্কুলে শৌচালয়ে একাধিক বার যৌন হেনস্থা করা হয়েছে মেয়েটিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গাজিয়াবাদ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০১
Share:

স্কুল থেকে ফেরার পরেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের মেয়েটি। মাকে জানিয়েছিল তার গোপনাঙ্গে ব্যথা করছে! এর পরেই জানা যায় স্কুলে শৌচালয়ে একাধিক বার যৌন হেনস্থা করা হয়েছে মেয়েটিকে। গাজিয়াবাদের এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্কুলের মহিলা পিওনের দিকে। শুক্রবার ৩৮ বছরের ওই মহিলা পিওনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাবাল নগরের জীবনজ্যোতি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র তুষার কুমারের খুনের পরে এই ঘটনা সামনে আসায় স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement

গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদের একটি প্রি স্কুলের একরত্তি মেয়েটি এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেছে। বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে কাঁদতে কাঁদতে মাকে তার যৌনাঙ্গে ব্যথার কথা জানায় মেয়েটি। মেয়েটির মা বলেন, ‘‘রাতে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়ার সময়েও মেয়ে যৌনাঙ্গে ব্যথার কথা জানায়। তখনই সে আমাকে বলে, স্কুলের ‘আন্টি’ (অভিযুক্ত মহিলা পিওন) তার যৌনাঙ্গে দু’টি আঙুল ঢুকিয়ে দিয়েছে। কাউকে বললে শৌচাগারে তাকে আটকে রাখার হুমকিও দিয়েছে সে।’’

শুক্রবার সাহিবাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা-মা। পেশায় আইটি সংস্থার কর্মী মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘এর পরে পুলিশ এবং মেয়েকে নিয়ে আমরা স্কুলে যাই। যে মহিলা অত্যাচার করেছে, তাকে আঙুল তুলে চিনিয়ে দেয় মেয়ে।’’ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চার মেয়ে-সহ ছয় সন্তান রয়েছে ধৃত মহিলার। এই প্রথম নয়। আগেও ওই মহিলা পিওন শিশুটিকে যৌন হেনস্থা করেছে অভিযোগ। মেয়েটির বাবা জানান, গত সোমবারও মেয়ে স্কুল থেকে এসে জানিয়েছিল, তার যৌনাঙ্গে ব্যথা করছে। কিন্তু তখন বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি তারা। মেয়েকে ওষুধ দেওয়া হয়। ব্যথা সেরেও যায়। এর পরে বৃহস্পতিবার ফের সে স্কুল থেকে ফিরে একই কথা জানায়। তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, গত গ্রীষ্মেও মেয়েটিকে নিগ্রহ করেছে ওই মহিলা। স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিগৃহীতা শিশুটির বাবা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে ওই প্রি স্কুলের অন্য কয়েক জন অভিভাবকও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তানকেও যৌন হেনস্থা করেছে ওই মহিলা পিওন। গোটা ঘটনায় অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement