মোদীর রাজ্যে বিক্ষোভ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে রইল তাঁর নিজ রাজ্য গুজরাতের বিভিন্ন সরকারি দফতর ও স্কুল। পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবিতে গণছুটি নিলেন হাজার হাজার সরকারিকর্মী। মূলত সরকারিকর্মীদের জেলা স্তরের সংগঠনগুলি শনিবার এই কর্মসূচি নিয়েছে। তাদের দাবি, পুরনো পেনশন প্রকল্প কার্যকর করার মূল দাবিই মানেনি রাজ্য সরকার। যদিও, রাজ্য স্তরের সরকারিকর্মীদের সংগঠনের বক্তব্য, সরকার তাদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নিয়েছে।
পুরনো পেনশনে প্রকল্পের দাবিতে অনেক দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষক, পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনগুলি। সেই দাবিতেই শনিবার শুধু মাত্র ভাবনগর জেলায় সাত হাজার শিক্ষক ছুটি নিয়েছেন। গাঁধীনগরের পুরনো সচিবালয় চত্বরে মিছিল করেছেন বহু সরকারিকর্মী। কাজে যোগ দেননি কচ্ছের প্রায় আট হাজার সরকারি কর্মচারী, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষক। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমাদের নেতারা বলছেন, সব দাবিই পূরণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবি এখনও মেটানো হয়নি। আমাদের অনেকেই ২০০৫ সালের পর কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের কী হবে?’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গুজরাত সরকার ঘোষণা করেছে, যে সব সরকারি কর্মচারীরা ২০০৫ সালে কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই শুধু পেনশন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পাবেন। তার প্রেক্ষিতে সৌরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সংযুক্ত মোর্চার কনভেনর মহেশ মোরি বলেন, ‘‘আমাদের মূল দাবিই ছিল, পুরনো পেনশন প্রকল্প কার্যকর করা। কিন্তু এই দাবি পূরণ হয়নি। সরকারের ওই সিদ্ধান্তে বহু কর্মচারি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আজ গণছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’
যদিও এই বিক্ষোভ-কর্মসূচিকে সমর্থন করেনি গুজরাতের সংযুক্ত কর্মচারি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় সংযুক্ত মোর্চা। তাদের বক্তব্য, শুক্রবারই পাঁচ মন্ত্রীর সঙ্গে সরকারিকর্মীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সরকারের তরফে সংগঠনের অধিকাংশ দাবি মেনেও নেওয়া হয়েছে। শুধু পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবি ছাড়া। সব দিক নজরে রেখেই এই বিক্ষোভ-কর্মসূচি সমর্থন করা হয়নি।