মহারাষ্ট্রের কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ১৩

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একটি ব্যারেল থেকে রাসায়নিক বেরোতে শুরু করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪১
Share:

ছবি: পিটিআই।

একের পর এক নাইট্রোজেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মহারাষ্ট্রের ধুলের একটি কারখানায় মৃত্যু হল অন্তত ১৩ জনের। জখম কমপক্ষে ৫৮ জন।

Advertisement

শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ ধুলের ওয়াঘাড়ি গ্রামের কারখানাটিতে ওই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একটি ব্যারেল থেকে রাসায়নিক বেরোতে শুরু করেছিল। তা থেকেই আগুন ধরে এবং একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই সময়ে কারাখানায় অন্তত ১০০ জন কর্মী ছিলেন। ১৩ জন মারা গিয়েছেন।’’ দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। দমকলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে পুলিশের বিশাল বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।

কারখানাটি একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, কারখানার বয়লারে হয়তো বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু পরে দেখা যায় সেটি অক্ষত রয়েছে। জানা গিয়েছে, কারখানায় প্রচুর সংখ্যক নাইট্রোজেন সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। একটি সিলিন্ডার থেকে রাসায়নিক বেরিয়েই বিপত্তি ঘটে। অত সিলিন্ডার থাকায় বিস্ফোরণের ভয়াবহতা ছিল মারাত্মক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সে সময়ে কারখানার আশপাশে রাস্তাঘাটে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পালাতে থাকেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট করেও জানানো হয় সে কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে কথা বলেন ফডণবীসের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরে অমিত শাহও সে কথা টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘ধুলের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় খারাপ লাগছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement