নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবি।
প্রায় ছ’বছর তিনি প্রধানমন্ত্রী। দেশে হোক বা বিদেশে— হাতে গোনা দু’-একবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন। তা নিয়ে কম আক্রমণের মুখে পড়তে হয়নি নরেন্দ্র মোদীকে। এ বার কি সোশ্যাল মিডিয়াও ছাড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী? জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তিনি নিজেই। টুইটারে লিখেছেন, আগামী ৮ মার্চ রবিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন বলে ভাবছেন তিনি। কিন্তু আচমকা এই ঘোষণা কেন, রবিবার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ দেখেই বা কেন— সে সব নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিরোধীরাও। মোদীর পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাহুল গাঁধী ওই টুইট ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।’’
কয়েক দিন আগেও দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে টুইটারে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাসান্তে রবিবার রেডিয়োয় একটি করে ‘মন কি বাত’, রাজনৈতিক বা সরকারি কর্মসূচিতে ভাষণেই তাঁর মনের কথা পড়তেন দেশবাসী। আর ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। আনন্দ বা শোকবার্তা, কোনও বিপর্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার উৎস ছিল টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টগ্রাম, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া।
কিন্তু সেই সব অ্যাকাউন্টই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী! টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই রবিবার, ভাবছি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব-এর সব অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দেব। পরে পোস্ট করে জানাব।’’ মোদীর ইনস্টাগ্রামেও একই পোস্ট করা হয়েছে।
নিজের ‘অফিসিয়াল’ অ্যাকাউন্ট থেকে এমনই ঘোষণা করায় তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে সব মহলে। মোদীর এই পোস্টের পরেই টুইটারেও প্রচুর কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। প্রচুর কমেন্টস, রিটুইট আছড়ে পড়েছে ওই পোস্ট ঘিরে। এই ঘোষণার সঙ্গে নতুন কোনও চমক রয়েছে কি না, তা নিয়েও অনেকে কমেন্ট করেছেন। সমালোচনা শুরু করেছেন বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া: কাল ফাঁসি হচ্ছে না দণ্ডিতদের, স্থগিত অনির্দিষ্টকালের জন্য