প্রায় এক বছরের কাকস্য পরিবেদনা। মাঝখানে দফায় দফায় বৈঠক। বিভিন্ন স্তরে কূটনৈতিক দৌত্য। তবু চিঁড়ে ভিজছে না। সুইৎজারল্যান্ডের বার্ন শহরে নিউক্লিয়ার সাপ্লাই গ্রুপ (এনএসজি)-র বার্ষিক অধিবেশন বসবে আগামী জুনে। আলোচ্যসূচিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গটি রয়েছে। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি যতই মরিয়া চেষ্টা চালাক এ বারেও অভিজাত এই পরমাণু গোষ্ঠীতে ভারতের ঠাঁই পাওয়ার আশা কম। গত বারের মতো এ বারেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে চিনের প্রাচীর।
গত জুনে সিওলের এনএসজি সভায়, ভারত প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, এনএসজি-র সদস্যপদ হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এতটা উথালপাথালও ছিল না সেই সময়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে উদ্যোগী হয়ে চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরে আপাত ভাবে কিছুটা নরম ভাবও দেখিয়েছিল বেজিং। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ভেটো দিয়ে নয়াদিল্লির পথ আটকে দেয় তারা।
এর পরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দু’দফায় চিনের পরমাণু বিষয়ক কর্তা ওয়াং কুন-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতীয় নেতারা। এই মুহূর্তেও কথা চলছে চিনা নেতৃত্বের সঙ্গে। কিন্তু অরুণাচলে দলাই লামার সফর, ওবর (ওবিওআর) প্রকল্পে ভারতের শীতলতা, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা— এই সব নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক এখন এতই তিক্ত যে, চিনের সবুজ সংকেতের চিহ্নমাত্র দেখতে পাচ্ছে না সাউথ ব্লক।