ফাইল চিত্র।
২০২২-এর বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের সরকারে জাতপাতের ভারসাম্য মেরামত করে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে বিজেপি। রাজ্যের রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যে শীঘ্রই এই রাজ্যে মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটানো হবে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস থেকে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্রাহ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদকে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণ, দলিত, আদিবাসী, তফসিলি ও অন্যান্য জনজাতিদের যাতে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকে, তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মে মাসে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। প্রকট হয়েছে বিজেপির প্রতি ব্রাহ্মণ-সহ বেশ কিছু জাত ও বর্ণের অসন্তোষ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অপদার্থতার অভিযোগও উঠেছে।
এই বিষয়গুলিকে সামাল দিতে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভাকে কিছুটা নতুন চেহারা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। জিতিন প্রসাদ আগে থেকেই একটি ব্রাহ্মণসমাজ তৈরি করে বিভিন্ন কর্মসূচি, কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন। তাঁকে মন্ত্রী করতে পারলে যোগীর প্রতি নানা কারণে রুষ্ট ব্রাহ্মণদের বার্তা দেওয়া যাবে। তা ছাড়া রাজ্যে কংগ্রেসের যৎসামান্য ভোটব্যাঙ্কেও আরও চিড় ধরানো যাবে বলে মনে করছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভায় এখন ৫৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন। যার মধ্যে ২৩ জন পূর্ণমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী মোট ২২ জন। বিধানসভার মোট বিধায়ক-সংখ্যার নিরিখে মন্ত্রিসভায় আরও ৬ জনকে শামিল করার সুযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বিধানসভার বাদল অধিবেশেনের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। মন্ত্রী তালিকায় নাম ওঠার সম্ভাবনা নিশাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় নিশাদেরও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন নিশাদ। তাঁর ছেলে প্রবীণ নিশাদ বর্তমানে সন্ত কবীর নগরের সাংসদ।