—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিয়ের বাজারে পোয়া বারো। ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে ভারতে। আর বিয়েকে কেন্দ্র করে রেকর্ড গড়ে ব্যবসা হচ্ছে। একটি সমীক্ষায় এমনই দাবি করল ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’। সমীক্ষাটি জানাচ্ছে, চলতি বছরে কমবেশি ৩৫ লক্ষ বিয়ে হচ্ছে ভারতে। তাতে প্রায় ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
দেশজুড়ে এ বছর কত বিয়ে হয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কত বিয়ে আছে, তাতে কোন পরিবার মোটামুটি কত খরচ করেছে এবং করবে, এ নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি বছরের বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। চার হাত এক করার সব অনুষ্ঠানের ফলে বাজারেও সদর্থক প্রভাব পড়ছে। বিয়েকে কেন্দ্র করে বাড়ি তৈরি, বাড়ি সংস্কার, বাড়ি বা ফ্ল্যাট রং করা, নতুন ফ্ল্যাট কেনা, বিয়ের কেনাকাটা, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের জন্য প্রীতিভোজ, উপহার কেনা ইত্যাদিতে এ বছর খরচ হচ্ছে ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘এ বছর ১২ লক্ষ বিয়ের প্রতিটিতে খরচ হচ্ছে কমবেশি ১০ লক্ষ টাকা। ছয় লক্ষ বিয়েতে বর এবং কনে দু’পক্ষ খরচ করছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা করে। আরও ৫০ হাজার বিয়ে রয়েছে, যেখানে এক একটি বিয়ের বাজেট ৫০ লক্ষ টাকা। আরও ৫০ হাজার বিয়ে রয়েছে যেখানে এক একটিতে খরচ হচ্ছে এক কোটি বা তারও বেশি টাকা।’’ ফলত, বিয়ের অনুষ্ঠানের জেরে এ বার ভালই বিক্রিবাটা হচ্ছে দেশে। সমীক্ষায় দাবি, বছরের প্রথম বিয়ের মরসুমে ছ’লক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। তার এক একটিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ এমন বিয়ে রয়েছে, যার প্রতিটিতে গড়ে খরচ হয়েছে ছ’লক্ষ টাকা করে। তবে বিয়ের ভরা মরসুম রয়েছে সামনেই।
সমীক্ষা বলছে, ২৩ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচুর বিয়ে আছে। পরের বছর আবার জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছে। গত বছর সারা দেশে ৩২ লক্ষ বিয়ে হয়েছিল। ব্যবসা হয়েছিল ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার। এ বার সেটা অনেকটাই বেড়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভোজসভা, হোটেল, পার্ক, খামারবাড়ি ইত্যাদিতে ‘বুকিং’ হয়ে গিয়েছে। কেটারিংয়ের লোকজনও বরাত পেয়ে গিয়েছেন। আগামী কিছু দিনের মধ্যে এই বরাতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার মতে, বিয়ের এমন ভরা বাজারে বড় থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা দারুণ লাভবান হবেন। ভোজসভার মালিক থেকে গাড়ির চালক, কেটারিং সংস্থা থেকে ফুলের দোকানদার, আলোর ব্যবসায়ী থেকে উপহার বিক্রেতা— ছোট-বড় সকলের কাজ এবং ব্যস্ততা আগামী কয়েক দিনে আরও বাড়বে।