Congress

ফাটল তবু রইলই

দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর জনসভার সময়ই আজ জি-২৩ গোষ্ঠীর মূল মাথা গুলাম নবি আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে নিজের দল গড়ার জন্য জম্মুতে সভা করেছেন। দিল্লিতে আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিরা গরহাজির থেকেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫০
Share:

রামলীলা ময়দানের জনসভায় রাহুল গান্ধী। রবিবার। ছবি: পিটিআই

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জনসভাতেও কংগ্রেসের অন্দরমহলের ফাটল বহাল রইল। দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘মেহঙ্গাই পর হাল্লা বোল’ জনসভায় কংগ্রেসের দুই বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মা ও মণীশ তিওয়ারি গরহাজির রইলেন। দলের জি-২৩ গোষ্ঠীর এই দুই নেতাই সম্প্রতি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement

দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর জনসভার সময়ই আজ জি-২৩ গোষ্ঠীর মূল মাথা গুলাম নবি আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে নিজের দল গড়ার জন্য জম্মুতে সভা করেছেন। দিল্লিতে আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিরা গরহাজির থেকেছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মণীশ তিওয়ারি এখন বিদেশে। কিন্তু আনন্দ শর্মাকে রামলীলায় আসার জন্য আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণও অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শর্মা জানিয়ে দেন, তাঁর ইচ্ছে নেই। হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান করেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে শর্মা সম্প্রতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

সোমবার রাহুল গুজরাতে যাবেন। ঠিক তার আগে আজ গুজরাতের যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথসিংহ বাঘেলাও ইস্তফা দিয়েছেন। চলতি বছর জানুয়ারিতেই তাঁকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে গুলাম নবি আজাদ, জয়বীর শেরগিল কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাহুলের সফরের আগেই যুব সভাপতি পদত্যাগ করায় দেরি না করে এ দিনই হরপাল সিংহকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য স্বস্তির কারণ হল, শশী তারুর, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার মতো জি-২৩ গোষ্ঠীর বাকিরা এ দিন রামলীলার সভামঞ্চে হাজির ছিলেন। গুলাম নবি দল ছাড়ার পরেও এই নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তারুর, পৃথ্বীরাজরা সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে সরব ছিলেন। গান্ধী পরিবারের অনুগত কাউকে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হলে তারুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলেও জল্পনা রয়েছে। তারুর এ দিন রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার পর টুইট করে তার প্রশংসাও করেছেন। রাহুলের বক্তৃতার সময়ই কংগ্রেস কর্মীরা হাতে হাতে ব্যানার তুলে ধরে জানিয়েছেন, ‘আমরা রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি পদে চাই।’ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যর মতে, ‘‘এটাই আশার কথা যে, অনেক নেতা দল ছাড়লেও সমর্থকদের উৎসাহে কমতি চোখে পড়েনি।’’

দলের মধ্যে ফাটল বোজাতে আজ জনসভায় বক্তার তালিকায় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণকে রাখা হয়েছিল। যিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে গত কয়েক দিনে জল্পনা তুঙ্গে। আবার রাজস্থানের দুই যুযুধান নেতা অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলট দু’জনেই বক্তার তালিকায় ছিলেন। তাঁর সভাপতি হওয়ার জল্পনাকে ফের উস্কে দিয়ে গহলৌত ঠিক রাহুলের আগে বক্তৃতা করেছেন। সভাপতি পদের সম্ভাব্য তালিকায় নাম থাকা মল্লিকার্জুন খড়্গে আবার গান্ধী টুপি পরে মঞ্চে হাজির হয়েছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘আসলে কংগ্রেস আসা সহজ, যাওয়া সহজ, টিকে থাকাটাই কঠিন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement